চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে শুনানি শেষে গ্রেপ্তার ১৬ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে শাহাদাত হোসেন চকবাজার থানায় চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার আছেন।
সিএমপির সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাব উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘চকবাজার থানার চাঁদাবাজির মামলায় ডা. শাহাদাতের বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। অন্যদিকে কোতোয়ালী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা দুই মামলায় গ্রেফতার অন্যদের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেককে কারাগারে পাঠিয়ে আগামীকাল রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।’
এর আগে সোমবার দুপুর তিনটা থেকে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের প্রতিবাদে ডাকা কর্মসূচিতে বিএনপি কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিএনপি। এসময় ককটেলবাজি, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলার পর নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাতসহ ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই দিন গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। একটি কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অন্যটি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে। প্রত্যেক মামলাতেই নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সেক্রেটারি, ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ নগর বিএনপির শীর্ষ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে নগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. লুসি খান সিটি নির্বাচনের সময় কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন দাবি করে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছিলেন চকবাজার থানায়। সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. শাহাদাত। তাকে কোতোয়ালীর দুই মামলাও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।