প্রসূতির পেটে ব্যান্ডেজ রেখেই অস্ত্রোপচারের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২১, ১০:২৪ পিএম

ঝিনাইদহে ডা. আনিছুর রহমান নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক প্রসূতির পেটে ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে। কোটচাঁদপুর শহরের সিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে সিজারের ৮ দিনের মাথায় ঝিনাইদহ শহরের আল-আমিন ক্লিনিকে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থাকা রক্তমাখা ব্যান্ডেজ বের করা হয়।

ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চোরকোল গ্রামের গর্ভবতী রুনা খাতুনকে কোটচাঁদপুর শহরের সিটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত ২০ মার্চ সেখানে সিজার করেন ডা. আনিছুর রহমান। সিজারের সময় রোগীর পেটের মধ্যে ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই করা হয়।

রোগীর খালু বাবু মিয়া জানান, কিছুদিন পর রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে ঝিনাইদহ শহরের সমতা ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টে পেটের মধ্যে কাপড়ের অস্তিত্ব মেলে। দ্রুত রুনা খাতুনকে শহরের হামদহ এলাকার আল-আমিন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত ২৮ মার্চ রোগীকে দ্বিতীয় দফায় অপারেশন করেন ডা. জাহিদ।

ডা. জাহিদ জানান, রোগীর পেট থেকে রক্ত পুজ ও মফস জাতীয় জিনিস বের করা হয়। তবে রোগী এখন সুস্থ।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর সিটি ক্লিনিকের মালিক জাহাঙ্গীর জানান, ডাক্তাররা তো অপারেশন করেই খালাস। কিন্তু ভুল চিকিৎসার পেক্ষিতে পরবর্তী ঝামেলা তো ক্লিনিক মালিকদেরই পোহাতে হয়। ক্লিনিকের পক্ষ থেকে রোগীকে সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে।

অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. আনিছুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। অফিস বন্ধ থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারেনি। দায়ী চিকিৎসক ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh