নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২১, ০২:১৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাস। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনা করে করোনার প্রথমবারের মতো সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হতে পারে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে জনগণের সহায়তা চেয়ে তিনি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিয়েশাদির অনুষ্ঠান না করা, জনসমাগম যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা, পর্যটনে না যাওয়া, অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি না করা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে এ কথা জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা প্রায় নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিলাম, কিন্ত গোটা বিশ্বেই এর প্রভাব বেড়েই চলেছে। দেশেও করোনার প্রাদুর্ভাব হঠাৎ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশেও কিছুদিন ধরে হঠাৎ দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেকে হয়তো মনে করছে, যেহেতু টিকা নিয়েছেন, আর কিছু হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানা বন্ধ হয়েছে। যত বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে, সেখানে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, যারা পর্যটনে গেছে, সেখানেও আক্রান্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে যেভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইতিমধ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি।
সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আবার ধীরে ধীরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার চেষ্টা করছে। সে জন্য জনগণের সহায়তা দরকার। যখনই কেউ একটু মানুষের সাথে মিশবেন বা দোকানপাটে যাবেন, অফিসে যাবেন, মানুষের সাথে কথা বলবেন, ঘরে ফিরে একটু যদি গরম পানির ভাপটা নেন- এটা কোনো কঠিন কাজ না। ওই গরম পানিটার ওপর মুখটা রেখে ভাপটা নিলে পরে এই যে জার্মটা, যেটা নাক থেকে টেস্ট করার জন্য নেয়া হয় সেখান পর্যন্ত পৌঁছাবে ও এটাকে দুর্বল করে দেবে অথবা শেষ করে দেবে। আরেকটি কাজ আমি নিজে করি, এটাও আমরা করতে পারি- নাকে একটু সরিষার তেল দেয়া।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সবাই মনে করছেন যে কিছু হবে না। আমরা একেবারে সব কিছু কমিয়ে এনেছিলাম। আমাদের অর্থনৈতিক কাজগুলো চলছিল। অফিস-আদালতে আমরা বলে দিয়েছি, যেন সেখানে সীমিত লোক নিয়ে কাজ করা হয়। বেশি যেন মেশামেশি না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।