ধরা পড়ছে করোনার নতুন নতুন উপসর্গ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২১, ১০:২৬ পিএম | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২১, ১০:৫৯ পিএম

করোনাভাইরাসে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। নতুন নতুন উপসর্গ ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে গবেষক-চিকিৎসকদের। গবেষণায় দেখা গেছে, স্থানভেদে করোনার উপসর্গও পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রাথমিক যে সব উপসর্গের কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, এর বাইরেও বেশ কিছু লক্ষণকে করোনার প্রকাশ বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।

ব্রিটেনের চিকিৎসকদের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলার ক্ষমতা করোনা সংক্রমণের একটি লক্ষণ। 

করোনার নতুন উপসর্গ হিসেবে ত্বকেরও কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মূলত, হাতে-পায়ে-বুকে পিঠে র‍্যাশ হচ্ছে সংক্রমিতদের। শিশুদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দিচ্ছে বেশি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম দেয়া হয়েছে ‘কভিড ফিট’। বিদেশি জার্নাল একে ‘অ্যাকিউট অ্যাক্রোইস্কিমিয়া’ নাম দিয়েছে।

এই লক্ষণে হাত বা পায়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ জুড়ে ফ্রস্ট বাইটের মতো হয়। প্রথম প্রথম তা লালচে ফোস্কার মতো আকার নেয়। সেই অংশের রংও বদলে যায়, চুলকানিও থাকে। পায়ের পাতা, হাতের তালু, হাত-পায়ের আঙুলেই এই সমস্যা বেশি হয়। গবেষকদের দাবি, হাত-পায়ের সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম রক্তবাহী নালির মধ্যে আণুবীক্ষণিক রক্তের ডেলা জমে এই সমস্যা হচ্ছে।

ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ ঘটে চোখ লালচে হয়ে যাচ্ছে। ঘন ঘন চুলকানির পাশাপাশি ব্যথাও থাকছে। ‘দ্য জার্নাল অব দ্য আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অপথ্যালমোলজি’-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মোট কভিড আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ১-৩ শতাংশের এই সমস্যা হয়।

এই উপসর্গকে বিজ্ঞানীরা ডাকছেন ‘পিঙ্ক আই’ নামে। সাধারণ পিঙ্ক আই দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, কভিড রোগীর পিঙ্ক আই সারতে কিছুটা সময় লাগছে। এর জন্য চোখের কোনো স্থায়ী ক্ষতি হয় না।

সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, করোনা আক্রান্ত রোগীর কাঁপুনি হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, সেই সঙ্গে রোগীর পেশী, অস্থিসন্ধি ও মাথায় যন্ত্রণা হতে পারে।

মাথা যন্ত্রণার বিষয়টি এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া লক্ষণের তালিকায় ছিল। কিন্তু সেখানে গবেষকদের দাবি ছিল, এই মাথা যন্ত্রণা জ্বর ও কাশির সঙ্গে হাত ধরে আসে। এ বার বিজ্ঞানীরা জানালেন, শুধুমাত্র মাথার যন্ত্রণা ও পেশীতে ব্যথাও লক্ষণ হয়ে দেখা দিতে পারে।

কভিড-১৯-এর অন্যতম উপসর্গ ছিল ডায়েরিয়া। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কভিড আক্রান্ত অনেক রোগীরই জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্ট কমলেও ডায়রিয়া কিছুতেই কমছে না।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসপাতালে থাকাকালীন অন্য উপসর্গ কমলেও ডায়রিয়া কমতে সময় লেগেছে। রোগীর মল থেকেও রোগ সংক্রমণ ছড়ায়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh