ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২১, ১১:২৮ পিএম
সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চুক্তি হলে তা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য লাভজনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। তবে সম্ভাব্য এই চুক্তি অনেকাংশে দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম সিএনএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সৌদি আরবের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলে তা এই অঞ্চলের জন্য অসামান্য সুবিধা বয়ে আনবে।
তিনি বলেন, এটি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত সহায়ক হবে। আর ১৯৬৭ সাল অনুযায়ী ফিলিস্তিনির সীমান্ত ফিরিয়ে দিলেই তা (চুক্তি করা) কেবল সম্ভব হবে।
এর আগে, গত বছর ডিসেম্বরে সৌদি আরব এমন মন্তব্য করেছিল। প্রিন্স ফয়সাল বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেই তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে।
তিনি বলেছিলেন, আমাদের একটি শান্তি চুক্তি হওয়ার দরকার। যা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে মর্যাদা এবং কার্যকর সার্বভৌমত্ব প্রদান করবে। যা ফিলিস্তিনিরা মেনে নিতে পারবে। দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকরার জন্য সৌদি আরবের ইচ্ছা ছিল। তবে ১৯৭৬ সালের সীমান্তনীতি অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহারাইন চুক্তি সই করে। এরপর সুদান এবং মরক্কোও একই পথ অনুসরণ করে।