ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১২:১২ পিএম
জেলে হামলা চালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বহু নথিপত্র। ছবি: ডয়চে ভেলে
নাইজেরিয়ায় দক্ষিণাঞ্চলীয় ইমো রাজ্যের এক কারাগারে বন্দুকধারীদের হামলার পর এক হাজার ৮০০ জনেরও বেশি বন্দি পালিয়ে গেছে।
এসময় ৩৫ জন বন্দি পালাতে রাজি হননি এবং পালিয়ে যাওয়ার পর ছয় বন্দি ফিরে আসেন।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েচেন দেশটির কর্মকর্তারা।
নাইজেরিয়ায় অন্যতম বড় জেল-ভাঙার ঘটনা এটি। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু জেল নয়, শহরের অন্য সরকারি বাড়িতেও একইসাথে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
হামলাকারীরা বিস্ফোরক ব্যবহার করে দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় ওভেরি শহরের কারাগারটির প্রশাসনিক ব্লক উড়িয়ে দেয়ার পর এর ভেতরে প্রবেশ করে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সোমবার ভোররাতে কয়েকটি পিকআপ ট্রাক ও বাসে করে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র লোকজন ওভেরি কারাগারে হামলা চালায়। হামলাকারীদের কাছে রকেটচালিত গ্রেনেড, মেশিন গান, রাইফেল ও বিস্ফোরক ছিল।
এই এলাকায় বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আছে। তবে কোনো গোষ্ঠীই এখনো পর্যন্ত আক্রমণের দায় স্বীকার করেনি। নাইজেরিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এই ঘটনার জন্য ইস্টার্ন সিকিউরিটি নেটওয়ার্ককে (ইএসএন) দায়ী করেছেন। ইএসএন দাবি করে, তারা স্থানীয় ইগবো জনগোষ্ঠীকে বিদেশি হানাদারের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য লড়াই করছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটা সন্ত্রাসবাদী কাজ। তিনি পালিয়ে যাওয়া সব বন্দিকে ধরে আবার জেলে রাখার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে অনুরোধ করেছেন।
সপ্তাহ দুয়েক আগে দক্ষিণ-পূর্ব নাইজেরিয়ায় থানা, সেনার চেকপয়েন্ট ও জেলে হামলা করেছিল সন্ত্রাসীরা। তাতে অন্তত ১২ জন নিরপত্তারক্ষী মারা যান।
নাইজেরিয়ার ইমো রাজ্য অনেক দিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যায় আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় ইগবো নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান নাজুক সম্পর্ক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। - ডয়চে ভেলে ও বিবিসি