বৃহস্পতিবার থেকে দোকান খুলতে চান ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২১, ১১:০০ পিএম

আগামী ৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল ও দোকান খোলা রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে ক্ষুদ্র, পাইকারি, খুচরা মার্কেট ও দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, গত বছর লকডাউনে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকার পুঁজি বিনষ্ট হয়েছে। সেসঙ্গে পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ২০ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে করা হয়, তা-ও বিনষ্ট হয়েছে। তা সত্ত্বেও বর্তমান করোনা মহামারির কারণে ক্ষুদ্র, পাইকারি খুচরা মার্কেট ও দোকানগুলো দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং জীবন রক্ষার্থে বন্ধ রাখার মানসিক প্রস্তুতি আমাদের ছিল। কিন্তু এ বছরও ক্ষুদ্র অতি ক্ষুদ্র পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে কিছুটা ব্যবসার আশায় প্রায় গত বছরের মতোই বিনিয়োগ করে। কিন্তু অত্যন্ত দুভার্গের ব্যাপার যে এবারও আকস্মিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করায় ক্ষুদ্র পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী গত বছরের মতো পুঁজি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এমন অবস্থায় এ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে সীমিত পরিসরে ব্যবসা করার সুযোগ প্রদান না করলে তারা পুঁজি স্বর্বস্ব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাবে।  

এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দোকান খুলে দেয়ার বিষয়ে এখনো কোনো আশ্বাস পাইনি। তবে আমরা আশাবাদী দুয়েক দিনের মধ্যে পজিটিভ একটা ফলাফল পাব। এজন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। প্রধানমন্ত্রীকে একটি এসএমএস দেয়ার চেষ্টা করব। রমজানের আগে সাতদিন যদি পাইকারী ব্যবসাটা চালু করতে না পারি, তাহলে পাইকারী ব্যবসাটা ধ্বংস হবে এবং খুচরা ব্যবসাও ধ্বংস হবে। এর ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এই কথাগুলো আমরা মুখ্য সচিবকে বলছি, মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলছি, এমনকি আজ আইজিপির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের দুঃখ কষ্টের কথা বলেছি সবাইকে।

তিনি বলেন, বুধবার থেকে গণপরিবহনও চলবে, যেহেতু সবই খোলা আছে। এমন পরিস্থিতিতে শুধু দোকান, শপিংমল বন্ধ রাখা উচিত বলে মনে করি না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এমনিতেই শেষ, তারপরে এখন আরো বেশি শেষ হবে। পাইকারি মার্কেটিংয়ের সময় এখন। পাইকারি মালামাল যদি কিনতে না পারে, তাহলে খুচরা বাজারের পণ্যের দামটা বাড়বে। এতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের পুজি নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা সারা বছর শুধু একটা মাসের জন্য বসে থাকি। ১১ মাসের বিনিয়োগ একটা মাসের জন্যই করা হয়। রমজান আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা মাস।

এদিকে দোকান খুলে দেওয়ার দাবিতে তিনদিন ধরে নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা নির্দিষ্ট একটি সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh