নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১১:১৬ এএম
ফাইল ছবি
সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে এই ডোজ পাবেন ৩১ হাজার ১৬০ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হয়।
আজ যাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল, তারা টিকা নিতে কেন্দ্রে আসছেন। একইসাথে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার কার্যক্রমও চলবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে প্রতিদিন সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ডের মধ্যেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের কার্যক্রম শুরু হলো।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ডোজ নেয়া প্রায় সবার কাছে এসএমএসের মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার তারিখ ও কেন্দ্র জানিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে পর্যায়ক্রমে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। তবে কোনো কারণে কেউ যদি প্রথম ডোজ নেয়ার পরও দ্বিতীয় ডোজের সময় ও কেন্দ্রের তথ্য এসএমএসে না পেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেয়ার ঠিক দুইমাস পর আগের কেন্দ্রে গিয়ে টিকা কার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেন্দ্রে আজ আটটি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। এরমধ্যে সাতটি বুথে দ্বিতীয় ডোজের টিকা ও একটি বুথে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে। আজ সর্বমোট দুই হাজার টিকা দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউয়ের কর্মকর্তারা।
গত ২৭ জানুয়ারি টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে বুধবার (৭ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশে মোট টিকাগ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ২৯১ ও নারী ২১ লাখ ১৫ হাজার ৪১২ জন। তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন মোট ৯৩৯ জন।
দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। নির্দেশনাগুলো হলো:
১. আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী দ্বিতীয় ডোজ করোনা টিকা দেয়ার পাশাপাশি প্রথম ডোজ টিকাদান অব্যাহত রাখতে হবে।
২. আগামী ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ টিকার তারিখ এসএমএস দিয়ে জানানো যাবে। এসএমএসে উল্লেখ করা তারিখ অনুযায়ী প্রথম ডোজ নেয়ার কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে।
৩. আগামী ৬ এপ্রিল থেকে বেক্সিমকোর সহায়তায় দেশব্যাপী টিকা পরিবহন শুরু করতে হবে। জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে টিকা পৌঁছে দেয়া হবে।
৪. রোজার মাসে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
৫. লকডাউনে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। টিকা কার্ড সাথে রেখে রিকশা বা ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে টিকা গ্রহীতারা কেন্দ্রে যেতে পারবেন।
৬. টিকা নিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে মসজিদের মাইক, ক্যাবল টিভি ইত্যাদি ব্যবহারসহ বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে নিয়ম মেনে মাস্ক পরিধান, একে অপরের থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, সাবান-পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ঘন ঘন হাত ধোয়ার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।