অর্থাভাবে থমকে গেছে মিজানের মেডিকেলে ভর্তি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:০৫ পিএম

মিজানুর রহমান

মিজানুর রহমান

লালমনিরহাটের মেধাবী শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেন না। তিনি ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর কুলাঘাট গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মিজানুর। তিনি গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চর কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও লালমনিরহাট সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। 

২০১২ সালে মারা যায় মিজানুরের বাবা মফিজ। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছয় সন্তানকে নিয়ে অর্থের অভাবে পড়ে মা জোবেদা বেগম। জায়গাজমি বলতে কিছুই নেই। মাত্র আটশতক জমির উপর বসতঘর। 

নবম শ্রেণি থেকে প্রাইভেট টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যায় মিজানুর। ধার-দেনা, মায়ের মুষ্টির চাল আর অন্যের সাহায্য সহযোগিতায় এতদূর আসতে পারলেও এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তিনি। মেডিকেলে ভর্তি ফি, কঙ্কাল ক্রয় ও আনুষাঙ্গিক খরচসহ পাঁচ বছরের পড়াশুনায় প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।

জোবেদা বলেন, ‘না খেয়ে ছেলেকে পড়ালেখা করাইছি। এলাকাসাবীর সহযোগিতায় ছোট ছেলেকে পড়াশুনা করাই এত দূর নিয়ে আসছি। ডাক্তারী পড়া এত টাকা হামা কই পামো।’ তাই তিনি সমাজের বিত্তবান লোকদের সহযোগিতা চান। 

চর কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কুলাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান, অত্র ইউনিয়নের মধ্যে মিজানুরই প্রথম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। নিজের চেষ্টায় ও সবার সহযোগিতায় মিজানুর এত দূর এগিয়েছে। মেডিকেলে পড়তে যে খরচাদি হবে তার যোগান দেয়া কষ্টকর হবে তার পরিবারের জন্য। 

মিজানুর বলেন, নবম শ্রেণি থেকে টিউশনি আর ধারদেনা করে পড়াশুনা চালিয়ে আসছি। এখন কোনো সংস্থা যদি আমার পড়াশোনার জন্য এগিয়ে আসে তাহলে চিকিৎসক হয়ে বন্যাপীড়িত এই ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষদের পাশে থাকতে চাই। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh