কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২১, ০৫:০৯ পিএম
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বড়খারচর আদর্শ নূরানী ও হাফিজয়া মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষক বলাৎকারের কথা কাউকে না জানাতে কোরআন শরীফ ধরিয়ে শপথ করান।
এ ঘটনায় বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ ইয়াকুব আলী (৩৫) উপজেলার উছমানপুর গ্রামের সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল কাদিরের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছোট ছেলে (১১) শুক্রবার (২ এপ্রিল) বাড়ি আসার পর আর মাদ্রাসায় যেতে চায়নি। একাধিকবার মারধরের পরেও সে মাদ্রাসায় যেতে অস্বীকৃতি জানায়। একপর্যায়ে পরিবারের চাপে শিশুটি গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার নাম করে মাকে কুলিয়ারচর থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের কাছে মারধরের অভিযোগ করবে এমন আশঙ্কায় ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন মা।
পরে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মাস্টারকে নির্যাতনের ঘটনা জানায় শিশুটি। বিষয়টি জানাজানি হলে থানায় অভিযোগ করতে না দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চালায় স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর।
ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্র সাম্প্রতিক দেশকালকে জানান, মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াকুব আলী গত (১ এপ্রিল) রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে তাকে বলাৎকার করেন। বলাৎকারের কথা কাউকে না জানাতে কোরআন শরীফ ধরিয়ে তাকে শপথ করান।
পরে বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত হাফেজ মাওলানা ইয়াকুব আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম সুলতান মাহমুদ জানান, শিশু বলাৎকারের ঘটনায় ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।