রফিক মজিদ
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৪৮ এএম
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্য উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় শেরপুর জেলা অংশের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের প্রায় ১৮ কিলোমিটার নদের ড্রেজিং কাজে চলছে শুভঙ্করের ফাঁকি।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর শেরপুর জেলা অংশের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজ উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
উদ্বোধনের পর থেকে সাড়ে ৪ মাসে নদী খনন কাজ প্রাথিমক পর্যায়ের এক কিলোমিটারও শেষ করতে পারেনি। উদ্বোধনের পর থেকে বেশির ভাগ সময় ড্রেজিং কাজ বন্ধ থাকে। কোনদিন দিনে এক-দুই বার এবং টানা ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকারও রেকর্ড রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় চরবাসী। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এ ড্রেজিং কাজের গতিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি স্বয়ং শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সামনে বর্ষা, এ সময় খনন কাজ বন্ধ থাকবে। কিন্তু বর্ষায় ওই খননকৃত নদী আবারও ভরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময় ওয়ের্স্টান ইঞ্জিনিয়ারিং প্রা. লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাজেদুল করিম জানায়, আমাদের খনন কাজে স্থানীয়রাসহ নানাজন বাধাগ্রস্ত করে আসছে। ফলে আমাদের কাজে একটু গতি কমেছে। কিন্তু খনন কাজ যথা সময়ে শেষ করা হবে। এছাড়া আমাদের খনন বালু রাখার জন্য যে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে তা আমাদের ক্যাপাসিটি পাইপের চেয়ে একটু বেশি দূরত্বে। বর্ষায় কাজ বন্ধ থাকলেও পরবর্তী সময়ে এ খননের কোনো ক্ষতি হবে না বলে তিনি জানান।
নৌ-পরিবহন বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জিএম সাব্বির কাজের গতি কম হচ্ছে স্বীকার করে বলেন, প্রথমত উদ্বোধনের পর আমাদের ড্রেইজিং মেশিন সেট করতে এবং বালু রাখার পর্যাপ্ত স্থান না পাওয়ায় আমাদের কাজ একটু কম হচ্ছে। তবে জায়গার সংকুলন পেলেই আমাদের গতি বাড়বে।