গরুর খামারে স্বাবলম্বী

দুলাল বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২১, ০২:৩৩ পিএম

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বদিউজ্জামান খোকা মোল্যার স্ত্রী জাহানারা বেগম চিলি জীবনযুদ্ধে সফল এক নারী। তিনি তার পরিবারকে নতুন জীবন দিয়েছেন গরুর খামার করে, সব বাধা পেছনে ফেলে হয়েছেন স্বাবলম্বী। সেই সঙ্গে অন্যদের জন্য অনুসরণীয়। 

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দুটি দেশি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন তিনি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরতে হয়নি। বর্তমানে তার খামারে দেশি-বিদেশি উন্নত চার জাতের ৩৫টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন খামার থেকে ৮০ লিটার উৎপাদিত দুধ প্রায় ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সব বাধা পেরিয়ে এখন তিনি জীবনযুদ্ধে সফল এক নারী। 

তার এমন সফলতায় এলাকার অনেক নারী-পুরুষ ও বেকার যুবকরা আগ্রহী হচ্ছেন এই খামারের প্রতি। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ফিজিয়াম, শঙ্কর, মন্টি ও শাহিয়াল নামে উন্নত চার জাতের দেশি-বিদেশি গাভি, বাছুর, ষাঁড়সহ ৩৫টি গরু। প্রতিদিন একটি গাভি ১০ থেকে ১২ লিটার দুধ দিয়ে থাকে। বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে এই দুধ বিক্রি হয়। তা থেকে প্রতি মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় হয়। এমন উদ্যোক্তার কাজে সাহায্য করেছেন তার স্বামী খোকা মোল্যা। খামার পরিচর্যায় তিনিও বেশ ব্যস্ত। উন্নতমানের শেটে রেখে গরুগুলোকে লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রতিটি গরুর মাথার ওপর ফ্যান রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে। এর পাশাপাশি তিনি দেশি মুরগি ও ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন। সব মিলে জাহানারা বেগমের খামারটি এলাকার আদর্শ খামার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তার দেখাদেখি আশপাশের এলাকার নারী-পুরুষসহ এই খামারের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে অনেকের।

জাহানারা বেগম চিলি জানান, আমি গবাদি পশুর খামার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি। প্রতিদিন ৮০ লিটার দুধ বিক্রি করে ৪ হাজার টাকা আয় হয়। আমার এই খামার দেখে প্রতিবেশী নারীরাও গবাদিপশু পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আজিজ-আল-মামুন বলেন, জাহানারা বেগমের গরুর খামারে সব গরুই উন্নত জাতের। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে এই খামার নিয়মিত টিকা এবং ভিটামিন জাতীয় ওষুধসহ সব সুবিধা পাবে। আশা করছি গোপালগঞ্জের এই খামারটি একটি মডেল খামার হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh