পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার ভোটে সহিংসতায় নিহত ৫

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১, ১২:৪৬ পিএম

হাসপাতালে নিহতদের মরদেহ আনা হচ্ছে। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা

হাসপাতালে নিহতদের মরদেহ আনা হচ্ছে। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটে সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) কোচবিহারের শীতলকুচিতে এ ঘটনা ঘটে।

আজ সকালে ভোট শুরু হতেই শীতলকুচির পাঠানটুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক যুবকের। বেলা গড়াতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় জোরপাটকি এলাকায়। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। 

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সিএপিএফ জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাদের। এ ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

নিহতরা সবাই তাদের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের। পুরো ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন করানোর ভার যাদের কাঁধে, তাদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির।

স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথের ভিতরে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল।

অন্যদিকে বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক গোটা ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন। তার বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যেভাবে লাগাতার উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন মমতা, তার জন্য মানুষ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করে। তাতেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে সিআইএসএফ।

চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় শীতলকুচিতে সংঘর্ষ বেধেছে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। সকালে পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। তার পরিবারের লোকজন নিজেদের বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করলেও- আনন্দ কাদের পক্ষে, তা নিয়েও রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। তার মধ্যেই এই ঘটনা। -এই সময় ও আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh