ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১, ০৩:১৬ পিএম
প্রতীকী ছবি
সেহরি শব্দের অর্থ ভোরের খাবার। রোজার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে পানাহার করা হয়, সেটাকে ইসলামের পরিভাষায় সেহরি বলে। রোজা রাখার নিয়তে সেহরি করা সুন্নত।
সেহরি করার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে শুধু সেহরি করাই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সেহরি করে না আর আমরা সেহরি করি।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৪৩; তিরমিজি, হাদিস : ৬৪২)
আল্লাহ তাআলা সেহরির সময় সম্পর্কে বলেন-
‘তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ রাতের কালো রেখা থেকে প্রভাতের শুভ্র রেখা তোমাদের কাছে প্রতিভাত না হয়। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)’
সেহরি করা অত্যন্ত বরকতময়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সেহরি করো, কারণ সাহরিতে বরকত আছে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩)
তবে একটু দেরি করে সেহরি করা সুন্নত। রাসুল (সা.) সবসময় শেষ সময়ে সাহরি করতেন। ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বক্ষণে সেহরি করলে রোজা রাখতে বেশি সহজ হয়। পাশাপাশি ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় না।
পেটে ক্ষুধা না থাকলে সেহরির সময় দুই-একটি খেজুর খেয়ে নেয়া উত্তম বা অন্য কোনো জিনিস খেয়ে নেবে। (হেদায়া : খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)
বিলম্বে সেহরি করা উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে শেষ সময়ে কিছু চা, পানি, পান ইত্যাদি খেলেও সেহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া : খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)
সাদাসিধে সেহরি করা উত্তম। মহানবী (সা.)-এর সেহরি ছিল সাদাসিধা। আনাস (রা.) বলেন, ‘সেহরির সময় রাসুল (সা.) বললেন, আমি রোজা রাখব, খাবার দাও। আমি রাসুল (সা.)-এর সামনে খেজুর ও পানি পরিবেশন করলাম।’ অন্য এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনের উত্তম সেহরি শুকনো খেজুর। আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৪৫
অনেকে সারাদিন রোজা রাখবে বলে সেহরিতে অত্যধিক খাবার গ্রহণ করে থাকে। যদিও অধিক খাবার গ্রহণে ব্যক্তির স্বাধীনতা আছে, কিন্তু মহানবী (সা.)-এর সুন্নত হলো সাদাসিধে সেহরি।