ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২১, ১১:০৮ এএম | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২১, ০১:২৭ পিএম
ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে গত রবিবার (৪ এপ্রিল) বিকালে বয়ে যায় ঝড়ো বাতাসের গরম হাওয়া ( হিট শক)। এর ফলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সদ্য বের হওয়া ধানের শীষ হিট শকে শুকিয়ে গেছে।
আর লাভের আশায় আবাদ করে ধানের এমন অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা।
কৃষি বিভাগ জানান, ধানের শীষ বের হবার পর দিনে ২৮-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতের তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো। তবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ ধরনের ঝড়ো বাতাস প্রবাহিত হলে ধান ক্ষেতে হিট শক দেখা যায়।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানান, চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহ জেলাতে ৭৭ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে ইরি ধানের লক্ষ্যমাত্র ধরা হলেও আবাদ হয় ৮০ হাজার ২৮৪ হেক্টর জমিতে। সদ্য বয়ে যাওয়া গরম ঝড়ো হাওয়ায় সদরে আট হেক্টর, কালিগজ্ঞে ১০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে আট হেক্টর, মহেশপুরে ৩০ হেক্টর, শৈলকুপায় ১৩ হেক্টর ও হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ৪৮ হেক্টরসহ মোট ১১৭ হেক্টর ইরি ধানের শীষ শুকিয়ে যাবার তথ্য রয়েছে।
তবে বাস্তবে এ পরিমান আরো বেশি বলে কৃষকরা জানান। জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার রুদ্রপুরের আসমান আলী জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে বাসমতি ধানের আবাদ করে ছিলেন। কেবলমাত্র ধানের শীষগুলো বের হয়েছে। আর এসময় গরম ঝড়ো হাওয়ায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই মাঠে কমপক্ষে অর্ধশত বিঘা জমিতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, তিনি মাঠের ক্ষতিগ্রস্থ কিছু ক্ষেত পরিদর্শন ও কৃষকের সাথে কথা বলেছেন।
যশোর আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. জাহেদুল আমিন বলেন, এ ধরনের গরম ঝড়ো হাওয়ায় (হিট শক) যেসব ধানের জমিতে পানি থাকে, সেখানে ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। তবে বর্তমানে জমিগুলোতে প্রতি ১০ লিটার পানির সাথে ৬০ গ্রাম এওপি, ৬০ গ্রাম থিয়োভিট ও ২০ গ্রাম জিংক মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।