বাংলাদেশে সৌদির খেজুর চাষের স্বপ্ন জালাল উদ্দীনের

আকিব হৃদয়

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২১, ০৭:১২ পিএম

জালাল উদ্দীন খান দুলাল, বয়স পঞ্চান্ন (৫৫), দীর্ঘ দুই বছর সৌদি আরবে ছিলেন তিনি। সেখানে মরুভূমিতে খেজুর চাষ এবং এর সফলতা দেখে বাংলাদেশে তিনি সৌদি আরবের খেজুর চাষের স্বপ্ন দেখেন। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীন খান। 

দুই একর জমিতে গড়ে তুলছেন সৌদির খেজুর বাগান। তার বাগানে ‘আজোয়া’ ‘ক্ষীর’ ‘সুলতান’ ‘খালাস’ ‘মরিয়ম’ সহ ১১ জাতের খেজুরের চারা রয়েছে। এর মধ্যে দামি জাত হচ্ছে আজোয়া।

ঘটনার শুরু ২০১৮ সালের শেষের দিকে। শখকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য জালাল উদ্দীন খান প্রথমে যোগাযোগ করেন সৌদিতে থাকা মিজানুর রহমানের সাথে। মিজানুর রহমান সম্পর্কে তার বন্ধু। তার কাছে সৌদি খেজুর চাষের ইচ্ছা পোষণ করেন। সেই বন্ধুই সৌদি আরব থেকে প্রথমে তিনটি খেজুরের চারা নিয়ে আসেন।  তারপর বীজ পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

দুই ছেলে সন্তানের জনক জালাল উদ্দীন খান দুলাল। বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার শোলাকিয়া সাহেব বাড়ি গ্রামে। কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের গাংগাইল পাঠানপাড়া গ্রামে লিজ নেয়া জমিতে ছেলে আব্দুল্লাহ মোবাশ্বের খানকে নিয়ে গড়ে তুলছেন আল মদিনা ডেড এন্ড এগ্রো ফার্ম নামে সৌদি খেজুর বাগান।

প্রথম দফায় জালাল উদ্দীন খান দুলাল সৌদি আরব থেকে ১৫০০ ঝাড় খেজুর বীজ নিয়ে আসেন। একেকটি বীজের জন্য খরচ পড়ে ২৮৮ টাকা। সেগুলো চারা করেছেন, তার মধ্যে ১০০ টি খেজুর গাছ তার লিজ নেয়া জমিতে রোপণ করবেন। বাকিগুলো চারা হিসাবে বিক্রি করবেন বলে জানান জালাল উদ্দীন খান দুলাল। বর্তমানে তার একেকটি চারার বয়স দেড় বছর, দাম আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। 

জালাল উদ্দীন জানান, বাংলাদেশে খেজুরের বিশাল বাজার রয়েছে। যদি প্রতিটি জেলাতে পরিকল্পিত বাগান গড়ে তোলা যায় তাহলে যে ফলন আসবে তাতে করে আগামী দশ বছর পর খেজুর আমদানির প্রয়োজন হবে না।

কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ছাইফুল আলম জানান, জালাল উদ্দীন খান দুলাল একজন উদ্যমী মানুষ, তিনি সৌদি খেজুর চাষের যেই প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই, আমাদের থেকে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। যাতে করে তিনি একজন সফল খেজুরচাষি হতে পারেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh