নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৩৭ এএম
রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখার জন্য ভোজ্যতেল আমদানিতে বিদ্যমান ৪ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এর ফলে আমদানিকারকদের বিপুল পরিমাণ টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এনবিআরের হাতে আটকে থাকবে না।
গতকাল রবিবার এনবিআর এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে পবিত্র রমজান মাসে ভোজ্য তেলের দাম কমতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদ্যমান তিনস্তরের বদলে একস্তরে ভ্যাট আরোপের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে। বর্তমানে আমদানি, উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ে ভ্যাট দিতে হয়।
অপরিশোধিত তেল আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৪ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয় ব্যবসায়ীদের। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে ওই দামের ওপর ভিত্তি করে ভ্যাট ও কর আদায় করলে স্থানীয় বাজারেও দাম বাড়ে। আর এ পরিপ্রেক্ষিতেই এই অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হলো।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। বলা হয়, খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা লিটারে বিক্রি হবে। বোতলজাত সয়াবিনের লিটার বিক্রি হবে ১৩৫ টাকায়। এছাড়া পাম সুপার বিক্রি হবে ১০৪ টাকা লিটার দরে।
পরে আবার গত ১৫ মার্চ ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ হয় ১৩৯ টাকা।