নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৫৯ এএম
জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় একটি চেকপোস্ট। ছবি: বিবিসি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে নতুন করে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেটি কার্যকর হয়েছে আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে। আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে ‘কঠোর লকডাউন’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। যদিও সরকারি দলিলে এটিকে বলা হচ্ছে ‘বিধিনিষেধ’।
লকডাউন ঘোষণা করে গত সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
আজ ভোরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তৎপর রয়েছে।
ভোর সাড়ে ৬টায় দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় ও রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সাথে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বহু রাস্তা বেরিকেড বসিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরি সেবা সংস্থার কোনো যানবাহনও যেতে পারছে না, যেতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তায়।
সরকারের তরফ থেকে এটিকে ‘কঠোর লকডাউন’ হিসেবে বর্ণনা করা হলেও গার্মেন্টসসহ শিল্পকারখানা ও ব্যাংক খোলা রয়েছে।
এ দফায় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার ও টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
এর আগে ৫ থেকে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও সেটি মোটেও কার্যকর হয়নি।
পুলিশের তরফ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে , বুধবার থেকে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না। তবে চেকপোস্টে দেখা গেছে রাস্তায় চলাচলকারীদের কাছে পুলিশ মুভমেন্ট পাস দেখতে চায়নি।