নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০১:৩৭ পিএম | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০১:৫০ পিএম
সকাল ১১টায় ফার্মগেট এলাকার চিত্র
রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। ব্যারিকেডগুলোর সামনে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। বের হওয়ার কারণ যৌক্তিক হলে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আর অতি জরুরি না হলে বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেশেধে বাধা পড়েছে রোজা ও পহেলা বৈশাখের আমেজ।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের দেয়া কঠোর বিধিনিষেধের (১৪ থেকে ২১ এপ্রিল) প্রথমদিন সকালের চিত্র এমনই।
সরেজমিনে মগবাজার, সাতরাস্তা, ফার্মগেট, কাওরানবাজার গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের কঠোর নজরদারি চলছে। ফার্মগেট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে দেখা গেছে। এই এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ। সড়কে যান চলাচল ও সাধারণ মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে। অল্প সংখ্যক মানুষ মাইক্রোবাস, রিকশা ও মোটরসাইকেলে চলাচল করলেও তাদেরকে চেকপোস্টগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে।
সকাল ১১টার দিকে তেঁজগাও কলেজের সামনে চেকপোস্টে ‘ডক্টর’ স্টিকার লাগানো একটি ‘প্রাইভেটকার’ থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আরোহী হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন জানালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের এসআই এহসান জানান, রাস্তায় বের হওয়া সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সঠিক উত্তর না দিতে পারলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে মুভমেন্ট পাস থাকলে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি।
এর আগে ৫ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। পরে তা আরো দুইদিন বাড়ানো হয়েছিল। তা অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়। তবে এ দফায় আজ থেকে জারি করা বিধিনিষেধে ‘অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার ও টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না বলে নির্দেশনা দেয়া হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে কাউকে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেন। যাদের একান্তই প্রয়োজন তাদের ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বের হতে বলেছেন।