হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার, আত্মপ্রশংসায় পঞ্চমুখ পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২১, ১০:৩৯ পিএম

সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর প্রথম দিন বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীতে একজন চিকিৎসক ও একজন ফটো সাংবাদিকের গাড়ি আটকানো ও মামলার ঘটনা কার্যত অস্বীকার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কিছু মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া কিছু কিছু ব্যক্তিবর্গ পুলিশের চেকপোস্টে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।’

এতে বলা হয়েছে, কোভিড মহামারির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ মেনে চলা সকল নাগরিকের সমান দায়িত্ব। এ সমস্ত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে ডিএমপি অঙ্গীকারাবদ্ধ। কোনো পুলিশ সদস্য যাতে কোন অপেশাদার আচরণ না করেন, সে জন্য সর্বদা তাদের আচার আচরণ মনিটর করা হয়ে থাকে এবং যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা ও প্রশিক্ষণ চলমান আছে।

পুলিশের কাজে সহায়তা দিতে নাগরিকদের অনুরোধ করার পাশাপাশি বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘১৪ এবং ১৫ এপ্রিল সাধারণ মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের কাজ অনেকটা সফলতার সঙ্গেই সস্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। যদিও বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়া ব্যক্তি এবং বিভিন্ন পরিষেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা কষ্টকর কাজ। কেননা কিছু কিছু ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া গাড়ি নিয়ে বের হওয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে যেতে পুলিশকে সারা দিনিই গলদঘর্ম হতে হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কাওরান বাজারে পুলিশ একটি প্রাইভেটকারের ড্রাইভারকে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি গাড়িটি জনৈক চিকিৎসকের বলে বর্ণনা দেন। কিন্তু চিকিৎসক গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না।ড্রাইভার গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হলে তাকে গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। কিন্তু কাগজপত্রে বর্ণিত গাড়ির মালিকের সঙ্গে বর্ণিত চিকিৎসকের সামঞ্জস্য না থাকায় ড্রাইভারের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।’

ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘এছাড়া অপর আরেকটি ঘটনায় জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় একজন নাগরিক নিজ বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বের হলে কাওরান বাজার, ফার্মগেট. বিজয় সরণীসহ বেশ কয়েকটি চেকপোস্টের মুখোমুখি হন। এতে স্বভাবতই হাসপাতালে পৌঁছাতে তার দেরি হচ্ছিল। জাহাঙ্গীর গেট সংশ্লিষ্ট চেকপোস্টে তিনি ৩০ সেকেন্ডের মতো আটক ছিলেন বলে জানান। যাতায়াতের সময় যারা আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদেরকেই যথাযথ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। যেটি চলমান বিধিনিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে যৌক্তিক একটি বিষয়।’

ডিএমপি জানায়, ‘কিছু কিছু মিডিয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কিছু ব্যক্তিবর্গ পুলিশের চেকপোস্টে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতির কারণে ১৪ এপ্রিল ভোর ছয়টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নের শুরু থেকে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে মাঠে রয়েছে পুলিশ।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh