করোনার জীবাণু বায়ুবাহিত : দাবি ল্যানসেটের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৩:১৮ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৩১ পিএম

করোনাভাইরাসের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস বায়ুবাহিত নয়, এত দিন পর্যন্ত জানা ছিল এমনটাই। কিন্তু সেই দাবি নস্যাৎ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ। 

এতে বলা হয়, এই জীবাণু বায়ুবাহিত। তার বেশ কিছু প্রমাণ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই দাবি প্রমাণিত হলে, কভিড সুরক্ষাবিধিতেও বড়সড় বদল আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও কানাডার ছয় গবেষক যুক্ত রয়েছেন এই গবেষণায়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও এই দলের প্রধান ট্রিশা গ্রিনহল জানিয়েছেন, তাদের দাবির পিছনে অন্তত ১০টি কারণ রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পরিবেশে কভিডের সংক্রমণ পরীক্ষা করে তাদের সিদ্ধান্ত- করোনার জীবাণু ছড়ানোর জন্য শুধু বাতাসই যথেষ্ট। ভাসমান জলকণা বা ড্রপলেটসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ পাননি তারা।

গবেষণায় তারা দেখিয়েছেন, এমন কিছু পরিবেশে কভিডের সংক্রমণ হয়েছে যেখানে ভাসমান জলকণা ছড়িয়ে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। শুধুমাত্র বায়ু চলাচলের মাধ্যমগুলো দিয়েই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারত। এমনকি হাসপাতালে বহু সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেও, পর্যাপ্ত সাবধানতা নিয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটি শুধু জলকণার মাধ্যমে সংক্রমিত হলে, এমনটি হতো না বলে দাবি গবেষকদের। বায়ুবাহিত বলেই এসব ক্ষেত্রে সংক্রমণ হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

এই সিদ্ধান্তে আসতে এত দেরি হলো কেন সে বিষয়েও যুক্তি দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, জীবাণু বায়ুবাহিত কি না, তা পরীক্ষা করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। প্রচুর পরিমাণে নমুনা পরীক্ষা করতে হয়েছে। এতদিন পর্যাপ্ত নমুনা ছিল না বিজ্ঞানীদের হাতে। তাছাড়া সামান্য ভুলভ্রান্তি হলে জীবাণুর অস্তিত্ব নাও টের পাওয়া যেতে পারে। তাই এ বিষয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে দেরি হচ্ছিল।

এই দাবি যদি সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, তা হলে কভিডের সুরক্ষাবিধিতে কতটা বদল আসতে পারে? 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এতে বদলাতে পারে মাস্ক পরার ধরনও। এত দিন বাড়ির বাইরেই সাধারণত সকলে মাস্ক পরতেন। কিন্তু জীবাণু যদি পুরোদস্তুর বায়ুবাহিত হয়, তা হলে ২৪ ঘণ্টাও মাস্ক পরে থাকতে হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

শুধু কাজকর্মের সময় নয়, সে ক্ষেত্রে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও পরে থাকতে হতে পারে মাস্ক। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh