জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০৮:০৭ পিএম
দুটি পিসিআর মেশিনসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে (জবি) প্রায় তিন কোটি টাকার গবেষণা সরঞ্জামাদি পুরস্কার দিয়েছে আমেরিকা।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) এসব যন্ত্রপাতি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল।
এশিয়া মহাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইন্সট্রুমেন্টাল একসেস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পাওয়ায় সিডিং ল্যাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের জন্য দুটি পিসিআর মেশিনসহ প্রায় তিন কোটি টাকার উচ্চমানসম্পন্ন গবেষণা সরঞ্জামাদি পাঠিয়েছে। অ্যাওয়ার্ড ঘোষণার প্রায় ১১ মাস পর রবিবার সকালে আমেরিকার বোস্টন থেকে এসব ল্যাবসামগ্রী ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ অ্যাওয়ার্ড পায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ। বাংলাদেশ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। গত বছর ২৭ মে সিডিং ল্যাবের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ বিজ্ঞানীদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য স্বল্প খরচে উন্নত মানের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এ ব্যাপারে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড. দিলারা ইসলাম শরীফ বলেন, গত বছর বিশ্বের ১০টি দেশের মোট ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অ্যাওয়ার্ডটা পেয়েছি। যে গবেষণা সরঞ্জাম আমরা পেয়েছি, এতে একটি উচ্চ মানসম্পন্ন ল্যাব তৈরি করতে পারবো। যা বায়োটেকনোলজিক্যাল গবেষণার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ২টি পিসিআর মেশিন, ল্যামিনার ফ্লো, মাইনাস ২০ ডিগ্রি ফ্রিজসহ প্রায় ৯৪টি উচ্চতর গবেষণা ইকুয়েপমেন্ট।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামের মানদণ্ড হচ্ছে গবেষণা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সরঞ্জাম প্রাপ্তি উন্নতমানের এবং সময়োপযোগী গবেষণার ক্ষেত্রে এক অনন্য ভূমিকা পালন করবে। এই সব সরঞ্জাম সংগ্রহ করার ব্যাপারে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড . দিলারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার যাত্রাকে সমৃদ্ধ করেছেন। আশা করি এর মাধ্যমে বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র ছাত্রীরা গবেষণার নূতন দিগন্ত উন্মোচন করবেন।
উল্লেখ্য, আমেরিকার সিডিং ল্যাব নামের একটি বেসরকারি সংগঠন এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। যার উদ্দেশ্য নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশের তরুণ বিজ্ঞানীদের নতুন কিছু আবিষ্কার ও গবেষণায় উৎসাহিত করা।
জানা যায়, এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে গবেষণার যন্ত্রপাতি বিশ্বের ১০টি দেশের ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি বিভাগে সরবরাহ করবে। এছাড়া যারা মনোনীত হয়, তাদের বিশ্বব্যাপী সিডিং ল্যাবের অন্য বিজ্ঞানীদের সংস্পর্শে আসার সুযোগ থাকবে।