সর্বোত্তম নফল ইবাদত কোরআন তিলাওয়াত

মাহমুদ সালেহীন খান

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০১:৪০ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০২:০০ পিএম

মহান আল্লাহ মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে আল কোরআন প্রেরণ করেছেন। এই রমজান মাসেই কোরআন নাযিল হয়েছে।

তাই রমজানে আরো বেশি বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করা দরকার। রাতে তারাবির নামাজে কোরআন খতম দেয়া সুন্নত। ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম নফল ইবাদত কোরআনুল কারীম তিলাওয়াত। (সহীহ বুখারী)। 

কোরআনুল কারীমের এক আয়াতের তিলাওয়াত একশত রাকাত নফল নামাযের চেয়ে উত্তম। (সুনানে ইবনে মাজাহ)। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে, যে ঘরে কোরআন তিলাওয়াত হয় সে ঘরে আল্লাহ তাআলা অনেক কল্যাণ ও বরকত নাযিল করেন। যে ঘরে কোরআন তিলাওয়াত হয় না সে ঘরে কল্যাণ ও বরকত নাযিল হয় না। -মুসনাদে বাযযার

অন্য এক হাদীসে আছে, কোরআন তিলাওয়াতকারী প্রতি হরফে ১০টি করে নেকী পায়। আমি এ কথা বলছি না  যে, আলিফ-লাম-মীম সবগুলো মিলে এক হরফ; বরং আলিফ এক হরফ, লাম এক হরফ, মীম আরেক হরফ। -সুনানে দারেমী, ফাযায়েলে আ’মাল

আরেক হাদীসে আছে, যে অন্তরে কোরআনের কিছু অংশও নেই সে অন্তর যেন অনাবাদ ঘর। -সুনানে দারেমী, ফাযায়েলে আ’মাল 

কোরআন তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কীয় আরো অনেক হাদীস আছে। 

কোরআনের অর্থ বোঝাও জরুরি : কোরআনুল কারীমের অনেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা কোরআন বুঝে কোরআন সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণা করার জন্য সমগ্র মানবকুলকে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিটি মানুষ কোরআনের ওপর গভীর চিন্তা-গবেষণা করুক এটাই কোরআনের দাবি। 

কাজেই কোরআন সম্পর্কিত চিন্তা-গবেষণা কিংবা পর্যালোচনা করা শুধু আলেম, ইমাম, মুজতাহিদগণেরই একক কাজ নয়, বরং তা সকল মুসলমানের কাজ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh