নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৪৭ পিএম
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, চলমান সর্বাত্মক বিধিনিষেধের মেয়াদ একই শর্তে আরো এক সপ্তাহ বাড়ছে।
বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি লকডাউনের মেয়াদ আরো সাতদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। সাইন্টিফিক্যালি তো ১৪ বা ১৫ দিন লকডাউন না হলে সংক্রমণের চেইনটা পুরোপুরি ভাঙা সম্ভব হয় না। সেই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আগের শর্ত মেনে লকডাউন কন্টিনিউ করবে। বিধিনিষেধ আরো সাতদিন বাড়ছে।
তিনি বলেন, আরো সাতদিন লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হলেও বিধিনিষেধে কোনো পরিবর্তন আসবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠানো হয়েছে। তিনি অনুমোদন দিলে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
২৮ এপ্রিলের পরও লকডাউনের পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সংক্রমণ ম্যানেজ করাটা আমাদের উদ্দেশ্য, পরিস্থিতি কী হয় সেটা বিবেচনা করেই পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা মনে করছি আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনে সংক্রমণটা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় প্রথম দফায় গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ‘সার্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। এটি শেষ হবে ২১ এপ্রিল।
তবে গতকাল রবিবার রাতে কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় ‘কঠোর লকডাউন’ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।
তারা বলেন, সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আর বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউন দিয়ে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না বলেও পরামর্শক কমিটির সুপারিশে উল্লেখ করা হয়।