বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ

চীন থেকে প্রাদুর্ভাব হওয়া করোনাভাইরাস মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ।

জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১৪ কোটি ২৭ লাখ ১ হাজার ৪৭২ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৮২ জনের। 

আর ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার ২৪৭ জন। 

ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশেই মিলেছে করোনার নতুন ধরন। যা আগের ভাইরাস থেকে অনেকটা শক্তিশালী বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। করোনায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪২ জনের।

বিশ্বের দ্বিতীয় অন্যতম জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থানে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৫৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪১ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৫০ জন। 

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দেশের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭১৩ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯ জনের।

আক্রান্তের তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ফ্রান্স। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২২২ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৮০ জনের।

আক্রান্ত দেশের তালিকায় রাশিয়া আছে পঞ্চম স্থানে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৬৯০ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট এক লাখ ৫ হাজার ৯২৮ জন।

আক্রান্ত দেশের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৪৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৩ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২৭৪ জনের।

আক্রান্ত দেশের তালিকায় ইতালি রয়েছে অষ্টম স্থানে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯৪ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট ১ লাখ ১৭ হাজার ২৪৩ জন। 

মেক্সিকো আক্রান্ত দেশের তালিকায় ১৪তম স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ২৩ লাখ ৬ হাজার ৯১০ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৪৬৬ জনের।

তুরস্ক আছে আক্রান্তের তালিকায় সপ্তম স্থানে, স্পেন নবম ও জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। আর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় যে বিষয়টি তা হলো, এই চীন সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থান থেকে ৯৫ নম্বর স্থানে নেমে এসেছে।

চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। আর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনা মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।