রংপুরে করোনার রিপোর্ট পেতে লাগছে ৫-৭ দিনের বেশি

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২১, ০২:৪৩ পিএম

ছবি: রংপুর প্রতিনিধি

ছবি: রংপুর প্রতিনিধি

রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাস। অথচ রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন মাত্র ৫০ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করার কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

ফলে নমুনা নেবার পর ৫ থেকে ৭ দিনেও রিপোর্ট মিলছে না। এদিকে গত আটদিনে ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার পর বিভাগীয় নগরী রংপুরে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও নমুনা পরীক্ষা করার জন্য নগরবাসীকে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। 

রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থাপন করা পিসিআর মেশিনের সক্ষমতা ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার। সে কারণে রংপুর নগরী ছাড়া পুরো জেলা ও পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট- এ চারটি জেলার মানুষের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ওই মেশিন থেকে। 

এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের জন্য একটি আলাদা পিসিআর মেশিন দরকার। ১০ লাখ মানুষের জন্য ৫০ জনের কোটা নির্ধারণ করে দেয়ার কারণে বেশির ভাগ মানুষ নমুনা পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে নমুনা সংগ্রহ করলেও ৫-৭ দিনের আগে রিপোর্ট পাওয়া যায় না। এদিকে যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে করে আলাদা পিসি আর মেশিন স্থাপন করা জরুরি। 

তিনি আরো বলেন, ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য কোটা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশ যাত্রী, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যসহ ভিআইপিদের নমুনাই হয়ে যায় ২৫টির বেশি। ফলে সর্ব্বোচ ২০ থেকে ২৫ জনের নমুনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো যায়। বর্তমানে ৩০০’র বেশি নমুনা পিসিআর ল্যাবে পড়ে আছে। 

নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়া এলাকায় বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শতাধিক নারী-পুরুষ করোনার নমুনা দেবার জন্য অপেক্ষা করছে। এদের বেশিরভাগের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর, কারো কারো বয়স আরো কম। 

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নমুনা দেবার জন্য অপেক্ষামান দুই তরুণী জানান, নমুনা দেবার পর ৫/৭ দিনের আগে রিপোর্ট পাওয়া যায় না। ফলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কি না তা বোঝার উপায় থাকে না। ফলে নমুনা দেবার একদিন পরেই প্রতিবেদন দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নমুনা দেবার পর অনেক সময় লাগছে এটা মারাত্মতক ভীতির কারণ। আমরা বার বার বলছি এখানে আলাদা একটা পিসিআর মেশিন বসানো হোক। তা না হলে করোনার সংক্রমণ এবার মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করেন। 

দ্রুত আরো একটি পিসিআর মেশিন স্থাপন করার জন্য তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh