নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৭:০৫ পিএম
করোনার প্রকোপ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। বিধিনিষেধের সপ্তম দিনে এসে রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। এদিকে যারা বিনা কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদেরকে পড়তে হচ্ছে পুলিশের জেরার মুখে। পড়তে হচ্ছে মামলার কবলে, গুনতে হচ্ছে জরিমানাও।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর আসাদগেট, শুক্রাবাদ, রাসেল স্কয়ার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এসব এলাকার সড়কে সকাল থেকেই ছিল যানবাহনের দীর্ঘ সারি। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। অন্যান্য দিন সকাল থেকে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেলেও আজ ছিল ভিন্ন চিত্র। রিকশার সংখ্যা ও ছিল একেবারে হাতেগোনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিধিনিষেধে মুভমেন্ট পাস নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। পুলিশ বলছে, আগের তুলনায় অনেক বেশি মানুষের কাছে এখন মুভমেন্ট পাস আছে।
বিভিন্ন সড়কের চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর মধ্যে যারা মুভমেন্ট পাস কিংবা অফিসিয়াল পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদেরকে পড়তে হচ্ছে মামলা ও জরিমানার মুখে।
ধানমন্ডির এলাকার কর্তব্যরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজ আলম বলেন, গতকালের চেয়ে আজ গাড়ির সংখ্যা সকাল থেকেই বেশি। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যেন সড়কে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাচল নিশ্চিত করা যায়। এখন আগের চেয়ে পাস নিয়ে বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা মানুষের বেড়েছে। রাস্তায় যারা বের হচ্ছেন বেশিরভাগেরই মুভমেন্ট পাস রয়েছে। তারপরও কিছু মানুষ আছে যারা সঙ্গত কারণ দেখাতে পারছেন না। আমরা তাদেরকে সতর্ক করছি এবং ক্ষেত্রবিশেষে জরিমানা করছি।
তবে কোনো প্রকার জোর-জবরদস্তি নয় বরং বৃহৎ স্বার্থে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাইলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) জাহিদুল আলম।
তিনি বলেন, এখনও আমরা অনেককে পাচ্ছি, যারা অযথাই বাইরে বের হচ্ছেন। আজকেও আমরা কয়েকজনকে পেয়েছি, যাদের মুভমেন্ট পাস নেই এবং উপযুক্ত কোনো কারণ দেখাতে পারেননি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ইতিমধ্যেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। যেহেতু বিধিনিষেধের সময়সীমা আরো বাড়ানো হয়েছে আমাদের চেকপোস্টের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং এক্ষেত্রে কোনো শিথিলতার সুযোগ নেই।
অপরদিকে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের তৎপরতাও লক্ষ্য করা গেছে। মহল্লার ভেতরের দোকানপাট এবং বাজারে সাধারণ মানুষ যেন স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ না করে তা নিশ্চিত করতে থানা পুলিশের টহলও অব্যাহত রয়েছে।