টিকা রফতানি অনিশ্চিত: সিরাম সিইও

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২১, ০৮:১৬ পিএম

করোনাভাইরাসে সংক্রমণে বিপর্যস্ত গোটা ভারত। প্রতিদিনই আক্রান্তের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মধ্যে বিদেশে করোনার টিকা রফতানি স্থগিত করেছে ভারত সরকার। বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনেওয়ালা জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

বুধবার (২১ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

আদর বলেন, টিকা রফতানির কোনো নিশ্চয়তা নেই এবং এই মুহূর্তে আমরাও মনে করছি, এমন সংক্রমণের সময়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে আমাদের রফতানির দিকে তাকানো উচিত হবে না। হতে পারে জুন-জুলাইয়ে আমরা সামান্য পরিমাণে টিকা রফতানি শুরু করতে পারি। তবে এই মুহূর্তে আমরা দেশকেই অগ্রাধিকার দেবো।

ভারতে আগামী ১ মে থেকে নতুন ধাপে শুরু হচ্ছে করোনারোধী টিকাদান কার্যক্রম। এ পর্যায়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকেই টিকা দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রতি মাসে দেশটির আরো ২০ লাখ ডোজ বেশি প্রয়োজন পড়বে।

টিকা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ভারত সরকারের কাছে তিন হাজার কোটি রুপি চেয়েছিলেন আদর পুনেওয়ালা। এ বিষয়ে সিরাম প্রধান বলেন, আমরা মিডিয়াতে বারবার দেখছি, তিন হাজার কোটি রুপি মঞ্জুর হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি শিগগিরই আমাদের হাতে এসে পৌঁছাবে। তবে আমরা এই অর্থের জন্য অপেক্ষা করিনি, উৎপাদন বাড়াতে ব্যাংক থেকে অর্থ ধার করেছি। আশা করছি, এই সপ্তাহেই সরকার থেকে আমাদের কাছে ওই অর্থ পৌঁছাবে।

সিরামের সামনে বড় আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে টিকার কাঁচামাল রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা। চলতি সপ্তাহে আদর পুনেওয়ালা টুইটের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও ঠিকঠাক সাড়া মেলেনি।

সিরাম প্রধান বলেন, মার্কিন প্রশাসন মিডিয়ার মাধ্যমে সাড়া দিয়েছে। আমরা খবরে তাদের বলতে দেখেছি, তারা বিষয়টিতে অবগত এবং পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন। তারা বিষয়টি দেখছেন। কিন্তু এখনও কাঁচামাল রফতানি চালু হয়নি।

তিনি জানান, এর কারণে ভারতে কোভিশিল্ডের উৎপাদন বা দামে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে কোভোভ্যাক্সের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি ভারতের বাজারে ছাড়ার কথা রয়েছে।

আদর পুনেওয়ালা বলেন, এটি আমাদের দামের ওপর প্রভাব ফেলবে না। কারণ আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজে নিতে পারব। এতে শুধু একটু বেশি সময় লাগবে এই যা। তাতে কোভোভ্যাক্স মজুতে বাধা পড়তে পারে, সৌভাগ্যবশত কোভিশিল্ডে নয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh