সেতুর অপেক্ষায় ১৯ বছর

নাজমুস সাকিব মুন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১১:০২ এএম

গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত বাসিন্দারা ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন

গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত বাসিন্দারা ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন

সেতুর অপেক্ষায় কেটে গেছে ১৯ বছর। তবুও পূরণ হয়নি স্বপ্ন। পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প রাজারপাট ডাঙা গুচ্ছগ্রামে এমনই স্বপ্নভঙ্গে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক মানুষ। শুধু গুচ্ছগ্রামেই নয়, দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে আশপাশের কয়েটি গ্রামের মানুষকেও বাইরে যাতায়াত করতে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

রাজারপাট ডাঙা গুচ্ছগ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত বাসিন্দারা ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। আর অসুস্থ, নারী ও শিশুরা সাঁকো দিয়ে ভয়ে ভয়ে পার হচ্ছে। 

জানা যায়, তিন দিকে নদীবেষ্টিত ডাঙা গুচ্ছগ্রামটি গড়ে ওঠে ২০০১ সালে। গ্রামে বর্তমানে বসবাস করছে ১২০টি পরিবার। গ্রামের তিন পাশে করতোয়া ও চাওয়াই নদী। সারা বছর নদী দুটি পার হয়ে তাদের যাতায়াত করতে হয়; কিন্তু বর্ষাকালে নদীর পানি বেড়ে গেলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে হাটবাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয় তাদের। শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গেলে নৌকা দিয়ে নদী পার হতে হয়। 

তবে স্থানীয়দের উদ্যোগ ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চাওয়াই নদীর ওপর একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তবে শঙ্কায় থাকে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। কয়েক বছর আগে নদী পার হতে গিয়ে পড়ে এক ব্যক্তি আহত হয়ে মারা গেছেন। তাই গ্রামবাসীদের দাবি, সরকার যেন দ্রুত এখানে একটি সেতুর ব্যবস্থা করে দেয়। 

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ হোসেন বলেন, আমি সেতুর বিষয়ে কিছুদিন আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি। গুচ্ছগ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চাওয়াই নদীর ওপর দিয়ে দ্রুত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh