আরমানিটোলার আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১২:০২ পিএম | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১২:০৪ পিএম

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা

আরমানিটোলায় ছয়তলা ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- ওই ভবনের নিরাপত্তারক্ষী ও‌লিউল্লাহ, দোকান কর্মচারী রাসেল মিয়া, ভবনের চারতলার বাসিন্দা শিক্ষার্থী সুমাইয়া এবং ও‌লিউল্লাহর কাছে বেড়াতে আসা কবীর নামে আরেকজন।

বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শা‌হিন ফ‌কির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আগুনের ঘটনায় মোট চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে হাজী মুসা ম্যানশন নামের ওই ভবনটির নিচতলায় আগুন লাগে। সকাল ৯টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালটির আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, এ পর্যন্ত ২১ জন আসছে, তাদের সবার কেমিক্যালের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। একজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আরমানিটোলায় হাজী মুসা ম্যানসনে থাকা কেমিক্যাল গোডাউনের লাইসেন্স দেয়নি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। তবে সিটি করপোরেশন তাদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হাজী মুসা ম্যানসনে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল রয়েছে। এগুলো অবৈধ কেমিক্যালের দোকান। আমার জানা মতে ফায়ার সার্ভিস এদের কোনো ধরনের লাইসেন্স দেয়নি। তবে আমি জানি না সিটি করপোরেশন তাদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে কি না। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এ কেমিক্যাল গোডাউন গড়ে উঠেছে। নিচ তলায় কেমিক্যাল গোডাউন আর উপরে মানুষের বসবাস, এর মানে অগ্নিকুণ্ডে বসবাস করা ছাড়া আর কিছুই না। এজন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh