কামালউদ্দিন টগর
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১২:১৪ পিএম
নওগাঁর পেঁয়াজ বীজের আবাদ। ছবি: নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ জেলায় বেড়েছে পেঁয়াজ বীজের আবাদ। গত বছর চাষিরা দাম ভালো পাওয়ায় এবার বীজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে তাদের। এবারও পেঁয়াজের বীজের আবাদ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। তবে চাষাবাদে এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহয়তা না পাওয়ার অভিযোগে উঠেছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ মিললে বীজের আবাদ আরও ভালো হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় ১৪.৮৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে মান্দায় ১০ হেক্টর জমিতে বীজের আবাদ হয়েছে। গত দুই বছর থেকে দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। দাম বেশি পাওয়াতেই চাষিরা পেঁয়াজের বীজের আবাদে ঝুঁকেছেন। উপজেলার শিয়াটা, গংগারামপুর, চকউলী, কাশোপাড়া ও সাতবাড়িয়া বেশি পরিমাণ বীজের আবাদ করা হয়েছে। অগ্রহায়ণ মাসে রোপণ করা হলে চৈত্র মাসে ফসল উঠে। সাধারণত প্রতি কাঠায় এক থেকে দেড় কেজি বীজ পাওয়া যায়। গত বছর প্রতি কেজি বীজ সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
উপজেলার গংগারামপুর গ্রামের চাষি আফছার আলী জানান, গত দুই বছর থেকে পেঁয়াজের বীজের আবাদ করছেন তিনি। এ বছর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘাতে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। এবছর পেঁয়াজের দামও বাড়ছে। এবারও ভালো দামে বীজ বিক্রি করতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
চকউলী গ্রামের গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাদের গ্রামটি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা। ফসলের কোনো ধরনের সমস্যা হলে নিজেদের চেষ্টায় সমাধান করতে হয়। মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা গ্রামে গ্রামে গেলে কৃষকরা পরামর্শ নিতে পারত।
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিসার শায়লা শারমিন বলেন, উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজের আবাদ করা হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকায় যান না এমন অভিযোগ ঠিক না। তবে কৃষকরা যদি তাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেন অবশ্যই সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হবে।