পরিচ্ছন্নতায় সতর্ক থাকুন

আরিফুল ইসলাম

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১০:৩৭ এএম

সুস্বাস্থ্য বজার রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। ঘর, কাপড়, শরীর সবকিছু পরিষ্কার রাখার মধ্যে মানসিক প্রশান্তিও রয়েছে। 

তবে পরিচ্ছন্ন রাখতে গিয়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

একই কাপড়ে সবকিছু মোছা  

ঘরের সবচাইতে নোংরা অংশটি যে কাপড় দিয়ে মোছা হয়, তা দিয়েই ঘরের অন্যান্য অংশও পরিষ্কার করলে জীবাণু দূর হওয়ার চাইতে আরো ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই ঘরের বিভিন্ন স্থান পরিষ্কার করার জন্য আলাদা কাপড় ব্যবহার করা উচিত। নির্দিষ্ট সময় পরপর এই কাপড় পরিবর্তনের কথাও মাথায় রাখতে হবে।

পালকের ঝাড়ু ব্যবহার করবেন না  

খুব একটা কার্যকর নয় এই পালকের ঝাড়ু। কারণ এই ঝাড়ু পরিষ্কার করে কম। আবার এক জায়গার ধুলা উড়িয়ে আরেক জায়গায় নোংরা করে। তাই পালকের ঝাড়ুর পরিবর্তে ‘ডাস্টার ক্লথ’ কিংবা ‘মাইক্রোফাইবার ক্লথ’ ব্যবহার করা বেশি কার্যকর।

অপরিষ্কার চপিং বোর্ড  

রান্নার প্রায় সকল অনুষঙ্গ কাটা হয় এই বোর্ডের ওপর। ফলে প্রতিটি খাদ্য উপাদানেই এর স্পর্শ আছে। তবে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে এটি বেশ অবহেলিত। শুধু পানি ঢেলে কিংবা সাবান মাখানো স্ক্রাবের ঘষা চপিং বোর্ড পরিষ্কার করার জন্য যথেষ্ট নয়। ব্যবহারের শেষে সাধারণ পদ্ধতিতে পরিষ্কার করার পর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে চপিং বোর্ডটিকে ভিনিগার, লবণ ও লেবুর মিশ্রণে ডুবিয়ে রাখতে হবে।

দরজার হাতল ও পানির কল  

সারাদিন ঘরের মধ্যে যা কিছু স্পর্শ করা হয় তার মধ্যে এ দুটির মাত্রাই সবচেয়ে বেশি। এগুলো পরিষ্কার কতটা করা হয়, তা আপনিই চিন্তা করে দেখুন। জীবাণুর বংশবিস্তারের আদর্শ স্থান এ দুটি। 

ময়লার পাত্র  

সারাঘরের ময়লা একত্রিত করে যে পাত্রে ফেলেন, সেই ময়লা ঝুড়ি বা বালতি কতবার পরিষ্কার করেন ভেবে দেখেছেন কি? প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার এই পাত্র বা ডাস্টবিন ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত যাতে গন্ধ ও জীবাণুর বংশবিস্তার না হয়।

ক্ষুদ্র খাদ্যকণা  

একটু খেয়াল করলে দেখবেন, সোফা ও ড্রয়ারের কোণায়, কম্পিউটারের কিবোর্ডের খাঁজে, রিমেটের বোতামের ফাঁকে খাবারের উচ্ছিষ্ট লেগে আছে। ঘর পরিষ্কার করার সময় এই জায়গাগুলো খেয়াল করতে হবে এবং পরিষ্কার করতে হবে।

মাজুনি  

রান্নার জিনিসপত্র পরিষ্কারের কাজ অনেক সহজ করে দেয় একটি ভালোমানের মাজুনি। তবে যা দিয়ে খাবার রান্নার পাত্র পরিষ্কার করছেন সেটাও তো পরিষ্কার হওয়া জরুরি। একটি উপায় হতে পারে ভেজা মাজুনিটি ‘মাইক্রোওয়েভ ওভেন’য়ে পুরো এক মিনিট গরম করা। আরেকটি উপায় হলো মাজুনিটি ভিনিগার, লেবু ও লবণের দ্রবণে সারারাত ডুবিয়ে রাখা।

ঘর পরিষ্কার করার সময় ভালোমানের একজোড়া হাতমোজা ও মুখের মুখোশ ব্যবহার করতে হবে। এতে ধুলাবালি শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করবে না, ত্বক ভালো থাকবে এবং অপ্রত্যাশিত কাটাছেঁড়া থেকে সুরক্ষা মিলবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh