মোস্তাফা তারিক আল বান্না
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১০:৪২ এএম
সাকিব ওমোস্তাফিজ
আইপিএলের ১৪তম আসরেও নামি-দামি তারকা খেলোয়াড়দের পসরা বসেছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ লিগে দলে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করা খুবই দুরহ ব্যাপার।
এবারের আসরে আসরে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান খেলছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে এবং কাটারমাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খেলছেন রাজস্থান রয়্যালসে। তবে কিছুটা ব্যর্থতা-সাফল্যের দোলাচলে যাত্রা শুরু হলো সাকিব-মোস্তাফিজের।
সাকিবের কলকাতা প্রথম ম্যাচে ১০ রানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে পারজিত করে। ১১ এপ্রিলের ওই ম্যাচে সাকিব ব্যাট হাতে একেবারে শেষ মুহূর্তে মাঠে নামেন। ৫ বলে ৩ রান করে আউট হন। বল হাতে সাকিব ৪ ওভারে ৩৪ রানে এক উইকেট লাভ করেন। এটা তার এবারের আইপিএলে প্রথম উইকেট। কলকাতার একমাত্র প্যাট কামিন্স ছাড়া বাকি সব বোলারই গড়ে ৮ বা তার চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন। তাই সাকিবের বোলিং প্রথম ম্যাচে আশানুরূপই হয়েছে বলা যায়।
১৩ এপ্রিলের ম্যাচে কলকাতা ওই ১০ রানে পরাজিত হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের কাছে। ম্যাচে সাকিব প্রথমে বল হাতে ৪ ওভারে ২৩ রানে এক উইকেট লাভ করেন। কলকাতার বোলারদের মধ্যে সাকিবই ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী। তিনিই একমাত্র বোলার, যিনি গড়ে ৬ এর কম রান দেন। তবে ব্যাট হাতে সাকিব ছিলেন অনেকটাই ব্যর্থ। ৯ বলে ৯ রান করে ক্যাচ আউট হন। ১৮ এপ্রিল কলকাতা ৩৮ রানে হেরে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরুর কাছে। সাকিব ওই ম্যাচে বল হাতে ২ ওভারে ২৪ রান দেন। তবে ব্যাট হাতে তিনি মোটামুটি সফল। দলের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান (একটি ছয় ও একটি চারসহ) করেন ২৫ বলে। অবশ্য সাকিবকে ব্যাটে আরো টি-টোয়েন্টি চরিত্রের হওয়া উচিত ছিল।
মোস্তাফিজুর রহমানের দল রাজস্থান রয়্যালস ১২ এপ্রিল প্রথম ম্যাচে মাত্র ৪ রানে হেরে যায় পাঞ্জাব কিংসের কাছে। ওই ম্যাচে মোস্তাফিজ বল হাতে ৪ ওভারে ৪৫ রান দেন। মোস্তাফিজ গড়ে ১১.২৫ রান দিয়েছেন। ১৫ এপ্রিল রাজস্থান তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেটে জয়লাভ করে। ওই ম্যাচে ‘কাটারমাস্টার’ মোস্তাফিজ স্বরূপে আবির্ভূত হন। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি উইকেট লাভ করেন। তিনি মার্কাস স্টোনিস ও টম কুরানকে আউট করেন। জয়দেব উনদকাত ছাড়া মোস্তাফিজ গড়ে সবচেয়ে কম রান দিয়েছেন। উনদকাত ১৫ রানে ৩টি উইকেট লাভ করেন গড়ে ৩.৭৫ রান দিয়ে। আর মোস্তাফিজ গড়ে ৭.২৫ রান দেন।
সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল মোস্তাফিজের দল তৃতীয় ম্যাচে ৪৫ রানে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে যায়। ম্যাচে মোস্তাফিজ এক উইকেট পান ৪ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে। শেষ ওভারে উইকেট না পেলেও দুটি রান আউটের কৃতিত্ব তার। তাছাড়া, ক্যাচ মিসের কারণে মোস্তাফিজ আরো একটি উইকেট লাভ থেকে বঞ্চিত হন। সবমিলে মোস্তাফিজ তার বোলিং নৈপুণ্য অব্যাহত রেখেছেন।