নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৪৩ পিএম
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক না হলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, জনগণের বেসামাল চলাফেলা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে দেশে দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। করোনায় বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নিলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলো থেকে যেন ম্যালেরিয়া মশা না আসে, সেজন্য সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী।
বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি এক বছর ধরে মোকাবিলা করে আসছি। আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। তবে জনগণের বেসামাল চলাফেরা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে দেশে দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে।
তিনি আরো বলেন, এ বছর আমাদের হাসপাতালের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টিকা কর্মসূচি চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাইউলাইন মেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি। তবে আমরা যখনই মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছেড়ে দিয়েছি তখনই সংক্রমণ আবার বেড়ে গেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনায় বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নিলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। আমরা ভুল করতে চাই না, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাই। তবে এখন আবার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসছে। করোনা মহামারির মধ্যে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে।
দেশে ম্যালেরিয়া এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূল করবো। ২০২০ সালের রিপোর্টে দেখা যায়, দেশে ম্যালেরিয়া ৯৩ শতাংশ কমেছে। মৃত্যু কমেছে ৯৪ শতাংশ। আগে ১৩টি জেলায় ম্যালেরিয়া ছিল, এখন সেটি কমে দুইটি জেলায় নেমে এসেছে। এটা আমাদের সাফল্য। এবার এটিকে একেবারে নির্মূল করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলোর সাথে যৌথভাবে ম্যালেরিয়া মশা নির্মূল করতে হবে। তবে অনেক সময় দেখা যায়, এয়ার ট্রান্সপোর্টেও ম্যালেরিয়া মশা চলে আসে, সে জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।