যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ০৯:০৭ পিএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ০৯:১৮ পিএম

যশোরে গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিলো রবিবার (২৫ এপ্রিল)। গত ১০ দিন ধরে তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।

যশোর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার যশোরে থার্মমিটারের পারদে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো। এর আগে গত সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছিলো যশোরে।  সপ্তাহ জুড়ে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে বিরাজ করছে। 

যশোর অঞ্চলে দীর্ঘদিন দেখা নেই বৃষ্টির। খরতাপে মাঠঘাট শুকিয়ে গেছে। নেমে গেছে পানির স্তর। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে নাকাল প্রাণিকূল। তীব্র গরমে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে শিশু ও বয়ষ্কদের। এ অবস্থায় রোজাদারদের পানিশূন্যতা দেখা দিচ্ছে। ফলে হচ্ছে বিভিন্ন রোগ। 

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগে এ তাপদাহ চলবে আরো কয়েকদিন। ফলে খাঁ খাঁ রোদে পুড়ছে যশোর অঞ্চল। সকাল থেকেই সূর্যের বিচ্ছুরণে মধ্যবেলায় প্রকৃতি নেয় অগ্নিরূপ। কাঠফাটা রোদে চিল-চাতকের মতো হাঁসফাঁসে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন। 

বৈশাখের শুরুতে যশোরের উপর দিয়ে বইছে টানা তাপ প্রবাহ। ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে যশোরে। গত দুই যুগে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল যশোরে। এর আগে ১৯৯৫ সালে এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস।

তীব্র খরতাপে যশোরে ভুস্তরের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অস্বাভাবিক নিচে নেমে গেছে পানির স্তর। ইতোমধ্যে অনেক টিউবওয়েলে পানি উঠা বন্ধ হয়ে গেছে। আর যেসব টিউবওয়েলে পানি উঠছে তার পরিমাণ খুবই কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে স্যালো দিয়ে পানি তোলা এবং যত্রতত্রভাবে পুকুর-খালবিল ভরাট হবার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। সামনে বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে।

যশোর বিএডিসির (সেচ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুব আলম জানান, জানুয়ারি মাস থেকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নামতে শুরু করে। এপ্রিল মাসে পানির স্তর সর্বোচ্চ নিচে নেমে যায়। তবে এবার একটু আগেভাগেই মার্চ মাস থেকেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সাধারণত বছরে গড় বৃষ্টিপাত হয় ২০৩ সেন্টিমিটার। তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানির স্তর নামছে। বর্তমানে পানির স্তর ৩৬ ফুট ৯ ইঞ্চি নিচে নেমে গেছে। একারণে টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh