পুলিশ কর্মকর্তার অনুরোধে বায়তুল মোকাররম গিয়েছিলাম, আদালতে মামুনুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২১, ০২:৪৪ পিএম | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২১, ০২:৪৬ পিএম

আদালত প্রাঙ্গনে নেয়া হচ্ছে মামুনুল হককে

আদালত প্রাঙ্গনে নেয়া হচ্ছে মামুনুল হককে

পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার একজনের কথা রাখতে গিয়ে ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে গিয়েছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) রিমান্ড শুনানি চলাকালে আদালতের অনুমতি নিয়ে মাওলানা মামুনুল হক বিচারককে এসব কথা বলেন।

আদালতকে তিনি বলেন, 'গত ২৬ মার্চ আমি বাংলাবাজার জুমা মসজিদে পুলিশ প্রটেকশনে নামাজ পড়িয়েছি। নামাজ শেষে জানতে পারি বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিরা জড়ো হয়েছে। এরপর একজন ডিআইজির অনুরোধে বায়তুল মোকাররম মসজিদে যাই, সেখানে আমাকে বক্তব্য রাখতে বলা হয়। তারপর ওইখানে আমি বক্তব্য রাখি। আমিতো কোনো অন্যায় করিনি। ভবিষ্যতে পুলিশ অনুরোধ করলে আমরা তো কোথাও যেতে পারবো না।'

এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামুনুলের বক্তব্যে বিষয়ে কোর্টকে বলেন, ’তিনি এভাবে বক্তব্য দিতে পারেন না।’

তবে আদালত মামুনুলকে বলতে বলেন। মামুনুল আবার বলেন, ‘আপনি (আদালতের বিচারক) চাইলে আমার ওইদিনের কল রেকর্ড চেক করতে পারেন।’ পরে তার জামিন ও রিমান্ড বিষয়ে শুনানি হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘পল্টন থানার দায়ের করা মামলায় বাদী পক্ষের কোনো তথ্য ঠিক নেই। তিনি কোন হাসপাতালে ছিলেন তার কোনো তথ্য দেননি।’

মতিঝিল শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালে হেফাজতের তাণ্ডব ও চলতি বছরের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমের ঘটনার পৃথক ২ মামলায় (৩ ও ৪ দিন) ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে মোহাম্মদপুর থানার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে হাজির করা হয় মামুনুলকে।

একই সঙ্গে ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার নাশকতা মামলায় মাওলানা মামুনুল হকের ১০ দিনের রিামান্ড চায় পুলিশ।

মামুনুল ব্যক্তিগত জীবন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের আন্দোলনসহ নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন মাওলানা মামুনুল হক। নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা হিসেবে মনে করছে পুলিশ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh