নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১০:০২ পিএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১০:৫৯ পিএম
আবারো সিটি স্ক্যান করানোর জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে খালেদাকে বহনকারী গাড়িটি এভার কেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়।পরে রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে গাড়িটি হাসপাতালে পৌঁছায়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। সেগুলো শেষ হলে তিনি আবার রাতেই বাসায় ফিরে আসবেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ম্যাডামের সঙ্গে গাড়িতে আছেন তার গৃহকর্মী ফাতেমা। এছাড়া তার সঙ্গে হাসপাতালে যাচ্ছেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. আল মামুন ও ডা. এফ এম সিদ্দিকী। ফিরোজাতে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছে বিএনপি নেত্রীর। এর মধ্যে ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বাসার অন্তত ৮ জন করোনায় আক্রান্ত।
খালেদা জিয়ার জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো উপসর্গ নেই। তার চিকিৎসার তদারকিতে রয়েছেন লন্ডনে অবস্থান করা তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শ করে তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। ২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে করে ১০ বছর। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা আছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।