চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২১, ০৯:১৬ পিএম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল
বহিরাগতরা চমেক হাসপাতাল ক্যাম্পাসে এসে হামলা করেছে- এমন অভিযোগ এনে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তারা এ কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে করোনাকালীন এ সময়ে চিকিৎসা নিতে আসা হাসপাতালের রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার রাতে দুই দফায় চমেক ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে সকাল থেকে এ কর্মবিরতি চলছে।
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মূল অংশের নেতৃত্বে আছে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। ছোট অংশটির নেতৃত্বে আছে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। মূলত নওফেলের অনুসারীরা বহিরাগতদের চমেক ক্যাম্পাসে এনে হামলা করেছে এমন অভিযোগ এনেছেন আ জ ম নাছিরের অনুসারীরা। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নেতৃত্বে যারা আছেন তারা সকলেই সাবেক মেয়রের অনুসারী।
চমেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন ইসলাম শিমুল সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, গতকাল রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন ইন্টার্ন ডাক্তার আহত হন। এছাড়া লাঞ্ছিতও করা হয়। এর জের ধরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চলছে। এর সুষ্ঠু বিচার ও মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে হাসপাতালের কোনো ওয়ার্ডে নেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ফলে স্বাভাবিক রুটিন ডিউটি ও অন্য চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে চমেক ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে দুজন ইন্টার্ন ডাক্তারসহ পাঁচ জন আহত হন। এর মধ্যে চমেকের ৫৭ ব্যাচের ইন্টার্ন ডাক্তার ও বর্তমান সভাপতি হাবিবুর রহমান এবং ডাক্তার ওসমান গনি। এছাড়া আরো কয়েকজন আহত হন।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, সকাল থেকে হাসপাতালে ইন্টার্ন ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। হাসপাতাল ও আশেপাশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে চমেক কর্তৃপক্ষের সাথে একটা মিটিং চলছে। এরপরে কি সিদ্ধান্ত হয় তা জানা যাবে।