ইউনাইটেডে আগুনে মৃত্যু

চার পরিবারকে ২৫ লাখ করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২১, ০৩:১৩ পিএম

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল। ফাইল ছবি

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল। ফাইল ছবি

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুন লেগে কোভিড-১৯ ইউনিটের পাঁচ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত চার পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। 

এক মাসের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ক্ষতিপূরণের বিষয়ে হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ওই হাসপাতালের লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয় আবেদন) নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

অন্যদিকে নিহত পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে এক ব্যক্তি মনির হোসেনের পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা করায় আদালত তার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও আইনজীবী নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব। ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

ব্যারিস্টার অনিক আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আপিল বিভাগ প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে চার পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে দিতে বলেছেন।

এর আগে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি ওই চারজনের প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসাথে প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে চার পরিবারকে ৩০ লাখের জায়গায় ২৫ লাখ করে দেয়ার নির্দেশ দিলেন।

গত বছরের ২৭ মে রাতে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এসি বিস্ফোরণের পর আগুনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ১ জুন বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব, ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ ও নিয়াজ মাহমুদ জনস্বার্থে পৃথক দুটি রিট দায়ের করেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh