নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১০:৫৭ পিএম
করোনাভাইরাস মহামারি রোধে মানবিক বিবেচনায় অবিলম্বে গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত আসামিরা ছাড়া রাজনৈতিক বন্দি ও লঘুদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেছে বিএনপি। দেশের কারাগারগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দলটির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি দিনে দিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ধারণক্ষমতার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি বন্দি থাকা কারাগারে স্বাস্থ্যবিধি মানা বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। ফলে কারাগারগুলো করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রবল ঝুঁকিতে আছে। এর মধ্যে বেশ কিছু কারাগারে করোনাভাইরাসে বন্দিদের আক্রান্তের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটেছে বলেও সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
কারাগারগুলোতে চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। এমতাবস্থায় বন্দিদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে বন্দি ও তাদের আত্মীয়-পরিজনরা চরম উদ্বিগ্ন অবস্থায় আছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সারা দেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের কয়েক শত নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে কারান্তরীণ রাখা হয়েছে। কারাগারে করোনাভাইরাস আরো বিস্তার লাভ করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত বিচারে চাঞ্চল্যকর মামলায় দোষীরা বাদে রাজনৈতিক কারণে বন্দি ও লঘু অপরাধে কারান্তরীণ বন্দির মানবিক বিবেচনায় জামিন দেয়া হলে করোনাভাইরাসের এই ভয়াবহ পরিণতি থেকে বন্দিরা রক্ষা পেতে পারে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যেহেতু চূড়ান্ত বিচারের আগে কাউকেই দোষী বলা যায় না, সেহেতু বিনা বিচারে একজন নির্দোষ লোকও যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তাহলে মৃত মানুষটির জীবন সরকার ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই দেশের জেলখানাগুলোতে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারি রোধে অবিলম্বে গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত আসামিরা ছাড়া রাজনৈতিক বন্দি ও লঘুদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক।
সম্প্রতি সারা দেশ থেকে গ্রেফতার বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের কয়েক শত নেতা-কর্মীদেরও মুক্তি দাবি করছি। কারাগারে করোনা সংক্রমণ রোধে বিজ্ঞানসম্মত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় অনেক বন্দির জামিন আবেদনের শুনানি হচ্ছে না। তাই বন্দিরা যাতে আইনগতভাবে দ্রুত জামিন পেতে পারেন সেজন্য আদালতের বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোরও আহ্বান জানাচ্ছি।