টুঙ্গিপাড়ায় কৃষকের কান্না ধান ঝলসে ৯২ কোটি টাকার ক্ষতি

দুলাল বিশ্বাস

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১২:৩৯ পিএম

জমির ধান ঝলসে গেছে

জমির ধান ঝলসে গেছে

‘স্যার আমারে বাঁচান, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। কষ্ট করে সুদে টাকা এনে সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছিলাম; কিন্তু গরম বাতাসে আমার সব শেষ হয়ে গেল।’ 

সম্প্রতি কৃষি কর্মকর্তারা ধান ক্ষেত পরিদর্শনে গেলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেছিলেন গোপালপুর গ্রামের কৃষক অরুণ বিশ্বাস। শুধু এই একজন কৃষকই নয়, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ১৫ হাজার কৃষক গরম, শুষ্ক ও বৃষ্টিবিহিন ঝড়ো বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি আধাঘণ্টার গরম, শুষ্ক ও বৃষ্টিবিহিন ঝড়ো বাতাসে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ১৫ হাজার কৃষকের ১৮ হাজার বিঘা জমির বোরো ধান ঝলসে গেছে। এতে ৯২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে।

পাটগাতী ইউনিয়নের চিংগড়ি গ্রামের কৃষক কৃষ্ণ চৌধুরী বলেন, রাতে খুব গরম বাতাস অনুভব হয়। সকালে দেখি জমির সব ধানের শীষ ঝলসে গেছে। পুরোক্ষেত সাদা বর্ণ ধারণ করেছে। এবার ১৩ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছিলাম তার মধ্যে ৭ বিঘা জমির ধান ঝলসে গেছে।

টুঙ্গিপাড়া কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জামাল উদ্দিন বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত গরম, শুষ্ক ও বৃষ্টিবিহীন ঝড়ো হাওয়ায় প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অবশিষ্ট জমিতে পানি ধরে রাখা ও সালফার স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাতে জমির ধান ভালো থাকলে কৃষকরা ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবে।

এ ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের দিকে নজর রাখছে ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh