গোলাম রাব্বানী
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ০২:০৫ পিএম
তিস্তার দুর্গমচরসহ নীলফামারী জেলাজুড়ে সূর্যমুখীর চাষ
তিস্তার দুর্গমচরসহ নীলফামারী জেলাজুড়ে ১ হাজার ৮০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। গাছে গাছে ফুটেছে ফুল। মাঠে কৃষকের স্বপ্ন সূর্যমুখী ফুলে রঙিন হয়েছে। সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন গ্রামীণ অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে।
আর্থিকভাবে লাভবানের হাতছানি দিয়েছে কৃষকদের কাছে সূর্যমুখী। সূর্যমুখী বীজ রোপণের ৪ মাসের মধ্যে কৃষকেরা ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারেন। প্রতি বিঘা জমিতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মণ বীজ পাওয়া যায়। বিঘা প্রতি কৃষক ১২-১৪ হাজার টাকার বীজ বিক্রি করতে পারেন।
ডিমলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী জানায়, কৃষি পুনর্বাসন প্রণোদনা কিংবা রাজস্ব খাতের অর্থায়নে উপজেলায় ৩৬৫ বিঘা জমিতে ৩৬৫ জন কৃষককে সরকারিভাবে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ, সার বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকের সূর্যমুখীর চাষের ওপর দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া গ্রামের সূর্যমুখী চাষি রহিদুল ইসলাম জানান, সুর্যমুখী আবাদ এইবারই তিনি প্রথম করছেন। এটি নতুন স্বপ্ন তার। সরকারি প্রণোদনায় এই ব্লকে ৫ জন কৃষক ৫ বিঘা জমিতে একটি প্লটে করে এক সঙ্গেই ঢালাওভাবে সূর্যমুখী আবাদ করছেন।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মোছা. হোমরায়রা মন্ডল বলেন, সরকারি প্রণোদনায় এবার ব্যাপক সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি অত্যন্ত উপযোগী। ফলে চলতি বছরে সরকারি প্রণোদনায় কৃষকদের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখী চাষ বাড়ানো হয়।