রাঙা তরমুজে মলিন চাষি

আরিফুর রহমান

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ০২:৩০ পিএম

চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ

চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ

নোয়াখালীর মাঠের পর মাঠ তরমুজক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করছেন চাষি। বাম্পার ফলন সত্ত্বেও চাষিদের মুখে হাসি নেই। এর কারণ হচ্ছে লকডাউন। গত বছরের লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখলেও লকডাউনের কারণে সে আশা ফিকে হয়ে গেছে তরমুজচাষি ও ব্যবসায়ীদের।

তরমুজের বাম্পার ফলন নিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শহিদুল হক জানান, জেলার মোট নয়টি উপজেলার ২৪ হাজার থেকে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর তরমুজের চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২৮ থেকে ৩০ টন। উৎপাদিত তরমুজের বাজার বিক্রিমূল্য ৩শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ।

তরমুজচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদ বেশি ও আকারে অনেক বড় হওয়ায় তরমুজচাষি খুব খুশি। তবে লকডাউনে তরমুজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে না পারলে বিক্রি কমে যাবে, দামও পড়ে যাবে। লোকসানের মুখে পড়বেন কৃষক। 

লকডাউনে উৎপাদিত তরমুজ নিয়ে কৃষকদের ক্ষতির আশঙ্কা প্রসঙ্গে কৃষিকর্মকর্তা মো. শহিদুল হক বলেন, তরমুজ যাতে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে পাঠাতে পারেন কৃষক এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলীর আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের তরমুজচাষি আলমগীর আকন বলেন, লকডাউনে গত বছর তরমুজ কম দামে বিক্রি করেছি। বিক্রি করতে না পারায় অনেক তরমুজ ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে। এ বছর এমন অবস্থা হলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তরমুজ বিক্রির দাবি জানান তারা। 

পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের জামাল, জসিম ও কাজল মিয়া বলেন, গত বছর লকডাউনে পাইকার এসেও তরমুজ কিনেনি। তাই কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এ বছরও লকডাউন থাকলে তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh