নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৪৪ পিএম
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম খান।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের প্রভাকরদী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, গাছ কাটা, দস্যুতা, ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে গোপালগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন হিরু মোল্যা। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার উপ-পরিদর্শক অনুপ কুমার অধিকারী। তদন্ত প্রতিবেদনে মামলাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানোয়াট ও মিথ্যা আখ্যা দিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
হয়রানির শিকার আব্দুল হালিম খানের অভিযোগ, এই মামলার ৩ ও ৪ নম্বর স্বাক্ষী তার আপন মামাতো ভাই। নানার উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত তার প্রায় ৪০০ শতাংশ জমি বাদীপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। জমির সমাধান দিচ্ছে না। আদালতে প্রায় দুই যুগ ধরে দেওয়ানি মামলা চলছে। বাদীপক্ষের লোকজন তার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। উল্টো তাকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দেয়ার পাশাপাশি হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার উপ-পরিদর্শক অনুপ কুমার অধিকারী স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় বাদীপক্ষ আসামিদের হয়রানির মনমানসে অপকৌশল হিসেবে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বাদীর উল্লেখিত কথিত স্থানে কথিত সময়ে কোনো ঘটনাই সংগঠিত হয়নি। আনিত অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানোয়াট ও সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
হয়রানি মামলা ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা উল্লেখ করে গত ৩১ জানুয়ারি উল্লেখিত মামলার বাদী ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে মুকসুদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১২০১) করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম খান।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী হিরু মোল্যার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী রাকিবুল হাসান মুন্সী দাবি করেন, বিবাদীপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ইতোমধ্যে এই তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেয়া হয়েছে।