নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ মে ২০২১, ১১:৫৯ এএম
আজ ১৮ রমজান। মাগফেরাতের দ্বিতীয় দশকের আর মাত্র দুদিন রয়েছে। আর তৃতীয় দশক থেকে পবিত্র রজনী লায়লাতুল ক্বদরের হাতছানি। রামজানের প্রতিটা মূহুর্ত অনেক দামী। বিশেষ করে শেষ দশকের প্রতিটি রাত আরো বেশি দামী। মহান আল্লাহ এই দশকে লাইলাতুল ক্বদরের সৌভাগ্য আমাদের দান করুক।
মুমিন বান্দারা রমজানে দিনে রোজা রাখে ও রাতে জাগ্রত থেকে বেশি বেশি নফল ইবাদতে মগ্ন থাকেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই রাতে ঘুম থেকে ওঠা আত্মশুদ্ধির জন্য সর্বাধিক কঠিন পন্থা ও বাক্যালাপে সর্বাধিক দৃঢ়তাদানকারী।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: আয়াত ৬)
মূলত গভীর রাতে জেগে তাহাজ্জুদের নামাজ, দোয়া ইত্যাদি আত্মশুদ্ধির কাজ করলে কুপ্রবৃত্তি সমূহ দমন ও নিজের আত্মাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরীভাবে সাহায্য করে। কেননা গভীর রাতের নীরবতায় হৃদয়ের মাঝে এক প্রশান্তি বিরাজ করে। এছাড়া তাহাজ্জুদের সময়টা ব্যক্তির চারিত্রিক শক্তি অর্জনের পক্ষে ও নিজের কথাবার্তায় প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে অনেক উপযোগী।
আল্লাহতায়ালার প্রিয় বান্দারা রাত কাটিয়ে দেয় তার ইবাদতে। তারা শুধু রমজানের দিনগুলোতেই নয় বরং বছরের অন্যান্য দিনেও রাতকে জাগিয়ে রাখে তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে।
আল্লাহর এই প্রিয় বান্দাদের উদ্দেশ্যে ইরশাদ করেন- ‘আর আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের রবের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয় এবং যারা বলে হে আমাদের প্রভু! তুমি আমাদের ওপর থেকে দোযখের আযাবকে অপসারিত কর, নিশ্চয় এর আযাব সর্বনাশা।’ (সুরা ফুরকান: আয়াত ৬৪-৬৫)।
তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্বের বিষয়ে হাদিসে উল্লেখ আছে। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজসমূহের পর উত্তম নামাজ হলো রাতের তাহাজ্জুদ।’ (মুসলিম)
তাই আমরা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ক্ষমা লাভ করতে চাই তাহলে অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি রাতগুলোকেও বিশেষ ইবাদতে জাগ্রত করতে হবে।