বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ মে ২০২১, ০৩:৩০ পিএম
প্রেস ক্লাবের সামনে বক্তব্য রাখছেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতারা
দেশ স্বাধীন করেছে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষেরা। এক সময় কৃষকের বুকে গুলি করেছিল বিএনপি, আর এবার বাঁশখালীতে শ্রমিকের বুকে গুলি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এগুলো মেনে নেয়া যায় না। কোনো সরকারই শ্রমিকদের পক্ষে না। শনিবার (১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এসব কথা বলা হয়।
মহান মে দিবস উপলক্ষে ‘মে দিবসের অঙ্গীকার, নিশ্চিত কর সকল শ্রমিকের জীবন, জীবিকা ও স্বাস্থ্যের অধিকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই সমাবেশ করে তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার কঠোর লকডাউনের চলাকালীন সময়েও গণবিরোধী অনেক কাজ করেছে। এই সময়ে আমরা দেখেছি শ্রমিকের বুকে গুলি করেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা শাক-সবজি থেকে শুরু করে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে ব্যাপক লুটপাট করেছে, কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের কোনো কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে সরকার মধ্য আয়ের মানুষ থেকে হতদরিদ্র মানুষ পর্যন্ত সবার সঙ্গে ত্রাণের নামে মসকরা করেছে।
তারা আরো বলেন, আগে থেকেই শ্রমিকরা শোষণ ও বঞ্চনার শিকার। তাদের দিয়ে সময়ের অতিরিক্ত কাজ করিয়ে নিলেও, প্রাপ্য মুজুরি দেয়া হয় না। মুজুরি চাইতে গেলে উল্টো নির্যাতনের শিকার হয়। আমরা দেখেছি, মে দিবসের ১৩৫ বছরের এসেও শ্রম ঘণ্টা কমানোর দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে শ্রমিক নিহত হয়েছে। অথচ সরকার নিশ্চুপ বসে আছে। এতেই বোঝা যায়, ১৩৫ বছর পরে এসেও শ্রমিকদের অবস্থা কি।
আজ শুধু শ্রমিকরা বৈষম্যের শিকার না, ভবিষ্যতে শ্রমিকদের যে সন্তান জন্মগ্রহণ করবেন তারাও বৈষম্যের শিকার। কারণ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী মাতৃকালীন ছুটি পান ৬ মাস। আর আমার দেশের শ্রমিকরা মাতৃকালীন ছুটি পান ৩ মাস। শ্রমিকদের সঙ্গে এ ধরনের বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। আজ মে দিবসে আমাদের একটাই দাবি, রানা প্লাজা থেকে বাঁশখালী পর্যন্ত যত শ্রমিক হত্যা করা হয়েছে প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (SDP) আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সাম্যবাদী দলের (এম. এল) সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ খান প্রমুখ।