যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২১, ০২:২৪ পিএম
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। ফাইল ছবি
ভারতফেরত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৮ জন যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে (রেডজোন) ভর্তি রয়েছেন। তাদের শরীরে করোনার ভারতীয় নতুন ধরন রয়েছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য আটজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি ১০ জনের করোনার ভারতীয় ধরন পরীক্ষার জন্য আগামী দুই-একদিনের মধ্যে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করা হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে ভারত থেকে করোনা সংক্রমিত সাতজন যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে দেশে আসেন। এসব করোনা রোগীর মধ্যে ১৮ এপ্রিল একজন, ২৩ এপ্রিল পাঁচজন ও ২৪ এপ্রিল একজন আসেন। তাদের জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তারা ওয়ার্ডে না গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ভারতে করোনাভাইরাসের একটি নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় এ খবর আতঙ্কের সৃষ্টি করে। পরে তাদের ফিরিয়ে এনে হাসপাতালের রেড জোনে ভর্তি করা হয়। এরপর ভারত থেকে আসা আরেকজনের করোনা শনাক্ত হয়। পরে ভারত থেকে আসা আরো ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
আরো জানা যায়, করোনা সংক্রমিত ভারতফেরত ও স্থানীয় রোগীরা হাসপাতালের রেড জোনে ভর্তি আছেন। প্রতিদিন তিন বেলা তাদের খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) পরে নার্সরা তাদের ওষুধ ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ইনজেকশন দিয়ে আসছেন। তাদের দেখভালের জন্য সার্বক্ষণিক একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতিদিন সকালে একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। জরুরি ক্ষেত্রে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুঠোফোনে ওই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারী মামুনুর রহমান বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে ভারত থেকে আসা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ মে) ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত আরো একজন রোগী ফিরেছেন।
যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ভারতফেরত ১৮ জনের মধ্যে আট করোনা রোগীর শরীরে করোনার ভারতীয় নতুন ধরন রয়েছে কি না, তা দুইটি ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার ও ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। ভারত থেকে আসা বাকি ১০ জনের পরীক্ষার বিষয়ে দুই-একদিনের মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।