দেশের প্রথম ডিজিটাল কাস্টম হাউস বেনাপোল

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২১, ০৪:০২ পিএম

বেনাপোল কাস্টমস হাউস

বেনাপোল কাস্টমস হাউস

আমদানি রফতানি বাণিজ্যকে গতিশীল, রাজস্ব ফাঁকি রোধ ও শুল্কায়নে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে বিকম নামে একটি নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এ প্রথম বেনাপোল কাস্টমস হাউসই একমাত্র ডিজিটাল কাস্টম হাউসে উন্নীত হলো।

মঙ্গলবার (৪ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সফটওয়্যার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বেনাপোল কাস্টম কমিশনার আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এটি বেনাপোলে প্রথম চালু হলো। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য কাস্টম হাউসেও এই সফটওয়্যার চালু করা হবে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক ও পণ্যের তথ্য সংগ্রহ করতে জিরোপয়েন্টে ইতিপূর্বে কার্গো শাখায়  কাস্টমস, বন্দর ও বিজিবি যৌথভাবে এন্ট্রি করতো। ফলে একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে সময় লাগতো ৩০ মিনিট। বর্তমানে বিকম সফটওয়্যারের মাধ্যমে বারকোড ব্যবহার করায় সময় লাগছে মাত্র ৫ মিনিট। 

বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয় ভারত থেকে। ভারতীয় এসব ট্রাকের অবস্থান ও কোন শেডে পণ্য আনলোড হচ্ছে তা মুহূর্তেই জানা যাচ্ছে বিকমের মাধ্যমে। আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট’র ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের ঝুঁকি বিশ্লেষণ দ্রুত সম্ভব। দেশের যেকোনো স্থানে অবস্থান করেও আমদানি রফতানি পণ্যবাহী ট্রাকের সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ণয় করা যাচ্ছে। 

মুহূর্তেই জানা যাচ্ছে, বাকেয়া রাজস্ব, ব্যাংক গ্যারান্টি, আন্ডারটেকিং ও সিএন্ড এফ এজেন্ট লাইসেন্সের সকল তথ্য একযোগে যেকোনো অফিসার জানতে পারছেন।

বেনাপোল কাস্টম কমিশনার আজিজুর রহমানের নির্দেশে অতিরিক্ত কাস্টম কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলামের একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে এই প্রথম কাস্টমস হাউসে বিকম সফটওয়্যার তৈরী করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ১৫ টি মডিউলের মাধ্যমে আমদানি রফতানি বাণিজ্য গতিশীল, শুল্কায়নে স্বচ্ছতা ও প্রতিদিন পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত মনিটরিং, বন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করছেন কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনারসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। 

বন্দরের গুদামে সংরক্ষিত বাজেয়াপ্ত মালামাল সমূহের অবস্থান নিশ্চিত করা, পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি করা সম্ভব নয় এ ধরনের সফটওয়্যারে। ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পণ্য ডিটেক্ট করা সম্ভব দ্রুত। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh