হেফাজতের ২ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২১, ১১:০৪ এএম

আমজাদ হোসাইন আশরাফী ও মাওলানা মেহেদী হাসান। ছবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আমজাদ হোসাইন আশরাফী ও মাওলানা মেহেদী হাসান। ছবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান ও সহসাধারণ সম্পাদক মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের জন্য দেয়া এজহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। 

গতকাল মঙ্গলবার (৪ মে) রাত ১১টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।

এ মামলায় মেহেদী ও আমজাদসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অপর এক আসামি হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কে. দাস মোড়ের বাসিন্দা সানাউল হক চৌধুরী (৫৫)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, ছাত্রলীগ সভাপতির দেয়া এজহারটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নথিভুক্ত করা হয়েছে। গত সোমবার (৩ মে) রাতে সদর মডেল থানায় এজহার জমা দেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।

এজহারে বলা হয়, আসামিরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংগঠিত হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের প্রত্যক্ষ মদদদাতা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মানহানি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য মাওলানা মেহেদী হাসান তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন। মেহেদী তার সেই পোস্টে মোকতাদির চৌধুরীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় হামলাকারী উল্লেখ করে তার ফাঁসি দাবি করেন। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অভিপ্রায়ে বাকি দুই আসামি মেহেদীর ওই পোস্ট প্রচার করেন বলে এজহারে উল্লেখ করেন বাদী।

এর আগে গত শনিবার (১ মে) সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারক উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেয়ার জন্য সদর মডেল থানায় এজহার জমা দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। হেফাজতের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো দেড়শ জনকে আসামি করা হয় এজহারে। তবে এজহারটি মামলা হিসেবে এখনো নথিভুক্ত হয়নি। 

এজহারে উল্লেখিত ফেসবুক পেইজ ও আইডির লিংকগুলো পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার কাছে চিঠি দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh