ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২১, ১১:২২ এএম
দিল্লির একটি শশ্মানে করোনায় মৃত এক ব্যক্তির সৎকারের অপেক্ষায় স্বজনরা। ছবি : রয়টার্স
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৩ হাজার ৭৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশে। যা একদিনে কোভিড রোগীর মৃত্যু নিরিখে সর্বোচ্চ।
এ নিয়ে ভারতে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৮৮ জনের। মোট মৃত্যুর নিরিখে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই রয়েছে ভারত।
গত তিনদিন ধরে কিছুটা কমার পর ফের বাড়ল দেশটির দৈনিক করোনা সংক্রমণ। আজ বুধবার (৫ মে) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩১৫ জন। যা মঙ্গলবারের তুলনায় প্রায় ২৫ হাজার বেশি। দেশে মোট আক্রান্ত ইতিমধ্যেই ২ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর কেবল ভারতেই মোট আক্রান্ত ২ কোটির বেশি। ভারতের পিছনে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত এখনো দেড় কোটি ছাড়ায়নি। বিশ্বের বাকি কোনো দেশে ১ কোটিও ছাড়ায়নি আক্রান্তের সংখ্যা।
ভারতে করোনায় সংক্রমিত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৪৮ জন।
রোজ সাড়ে তিন লাখেরও বেশি নতুন আক্রান্তের জেরে দেশে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৮৮ জন। যদিও সপ্তাহ খানেক আগে দেশে সক্রিয় রোগী বেড়েছিল এক লাখেরও বেশি। এখন তা কমে ৪০-৫০ হাজারের আশপাশে নেমেছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছে, করোনার সংক্রমণ কমছে। তবে বাস্তবের পরিস্থিতি ভিন্ন। কারণ সংক্রমিত অনেকে করোনা পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন না। এ কারণে তারা হিসাবের আওতায় আসছেন না। মৃত্যুর অনেক তথ্যও সরকারি হিসাবে যুক্ত হচ্ছে না।
গত মার্চের মাঝামাঝিতেও ভারতে একদিনে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর দেশটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এ পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে গত শনিবার (১ মে), ৪ লাখ ১ হাজার ৯৯৩ জন। এর আগে কোনো দেশে একদিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে- এমন আশঙ্কার কথা বিজ্ঞানীরা আগে জানালেও তাতে গুরুত্ব না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে।
ভারতে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। তারপর রয়েছে কেরালা, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, অন্ধ্র প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ। ছত্তিশগড়, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক।